এ সময় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে জীবনের অশুভ ইন্দ্রিয়কে বিসর্জন দিয়ে ও জীবনকে সুন্দর করার আহ্বান জানান তিনি। সারা দেশে যেভাবে দুর্নীতি-আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়েছে, ত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই অশুভ আকাঙ্ক্ষাকে পরিত্যাগ করতে হবে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল আজ সোমবার (১৭ জুন) সকালে তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ শেষে কালীবাড়িতে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আমিনসহ জেলা-উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে এই ঈদুল আজহা একটি কষ্টকর দিনে এসেছে। কারণ এবার মুদ্রাস্ফীতির কারণে ক্রয়ক্ষমতার ঊর্ধ্বে কোরবানির পশু কিনতে অনেকেই আর্থিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। কোরবানির মাংস রান্না করতে যে মসলা ও উপকরণ প্রয়োজন হয় তাও সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তাই এবারের ঈদে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, যারা রাজনীতি করছেন এবং ক্ষমতায় আছেন তারা যদি সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারেন এবং দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারেন তারা কিভাবে শাসক হবেন।দখলদারি অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার গত দেড় যুগ ধরে জনগণের সকল আকাঙ্ক্ষা, ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করে দিয়েছে। তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ তাদের আর পছন্দ করে না, ঘৃণা করতে শুরু করেছে। তারা প্রতারণা করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।
বিএনপির গুজব ছড়ানোর বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন বিষয়টি বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।সেখানে গোলাগুলির কারণে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের সব জাহাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেন্ট মার্টিনের মানুষের খাদ্যের অভাব হচ্ছে এবং তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। এমন সত্য ও বাস্তবতাকে সরকার অস্বীকার করে কিভাবে। এ বিষয়ে কিছু বললেই বলা হয় বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। তাহলে বিজিবি প্রধান কেন সেখানে বারবার যাচ্ছেন, সেনাপ্রধান কেনই বা বলছেন তারা সতর্ক অবস্থায় আছেন?’
আলোচনার বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি আলোচনা ও সংলাপের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু সংলাপের উদ্যোগ নেবে কে? যাদের হাতে ক্ষমতা আছে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদেরকেই আলোচনার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দলীয় সরকার বাদে নিরপেক্ষ সরকারের জন্য বিএনপিসহ যে ৬৩টি দল যে দাবি করেছে তা এখন জনগণের দাবি। হাবিবুল আউয়াল তা করতে পারেন নাই, তাই তার উচিত ছিল পদত্যাগ করা।’