তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঝামেলার কারণে ভুগবে না বাংলাদেশ। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে ইনানী থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলছে বলেও জানান তিনি।মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে যাতে সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত না হয়, সে জন্য দেশটির সরকার ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
পাহাড়ে অভিযানের বিষয়ে মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলছে। বান্দরবানের থানচি, রুমা এলাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।
সীমান্তের কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে নবীন সৈনিকদের উদ্দেশে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে চোরাচালান রোধসহ পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।তিনি বলেন, চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে। অনৈতিক অর্থ উপার্জন এবং শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে।
বিজিবি প্রধান আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।পারস্পরিক সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধা বজায় রাখতে হবে। টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। একজন শ্রমিককে সব সময় সাহসিকতার সঙ্গে ভালো মানুষ হতে হবে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিজিবি মহাপরিচালককে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে নবীন সৈনিকদের শপথগ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বিজিটিসিঅ্যান্ডসি’তে ২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি বিজিবির ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়।সেখানে ৫২০ জন পুরুষ এবং ৩৬ জন নারী রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।