গতকাল সোমবার কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের প্রধান ফটক বন্ধ করে শুধু পকেট গেট খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি এবং কার্জন হল এলাকাতেও জনসমাগম খুব একটা দেখা যায়নি। ক্যাম্পাসের ভেতরে যান চলাচলও সীমিত।
হামলার ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে হল ছাড়ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে পরিবার বেশ উদ্বিগ্ন। তাই তারা হল ছাড়ছেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আজম বলেন, হামলার ঘটনার পর থেকে পরিবার দুশ্চিন্তায় আছে। তারা দ্রুত হল ছাড়তে বলছেন। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হলের বাইরে থাকব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন বলেন, হলের পরিস্থিতি এখন শান্ত। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের হলগুলো দখল করে নেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ হলগুলোর নেতারা রাতে হলে ছিলেন না। আজ মঙ্গলবার সকালে হলগুলোর বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা সমকালকে এ তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল এবং অমর একুশে হল- এই তিনটি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদগুলোর শিক্ষার্থীরা থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, হলগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রাতে অবস্থান করেননি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশেই তারা রাতে হলের বাইরে অবস্থান করেন। আজ দুপুরে ছাত্রলীগের কর্মসূচির পর পরিস্থিতি বুঝে হলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতাদের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, ছাত্রলীগের অনেকে হলে রাতে ছিল না।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট