1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স জুলাইয়ে

অদেখা বিশ্ব ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
গ্রাফিক্স: অদেখা বিশ্ব

জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের মাস জুনে এসেছিল ২৫৪ কোটি ডলার।

সে হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কমেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ৭ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের প্রথম ৩ সপ্তাহে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। এর মধ্যে ১ থেকে ২০ জুলাই এসেছে ১৪২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আর ২১ থেকে ৩১ জুলাই আয় এসেছে ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে গতকাল ৩১ জুলাই এক দিনেই এসেছে ১২ কোটি ডলার।

জানা গেছে, গত জুনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা ছিল একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা সহিংসতার কারণে গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এই সময়ের মধ্যে মাত্র এক দিন ব্যাংক খোলা ছিল। এরইমধ্যে দেশের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। আবার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। ২৪ জুলাই সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে। মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৯ কোটি ডলার। এর আগে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার। এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এরপর জুন মাসে রেকর্ড ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যায়। তখন প্রতি মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ গড়ে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।

বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় আসার কারণে একপর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে যায়। দেখা দেয় ডলার-সংকট। এ সংকট এখনো কাটেনি।

প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews