ঝিনাইদহে শিক্ষার্থী পুলিশ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষর্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মুহুর্মমুহু রাবার বুলট, টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়ছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশের এক সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার মাথা ইটের আঘাতে কেটে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের পায়রা চত্তর, শহীদ মিনার ও কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। এরপর তারা মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এসময় একটি মিছিল থেকে থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দিতে থাকে। পরে তাদের সাথে আরো শিক্ষার্থী যোগ দিলে তারা থানা ঘেরাও করে। এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও গুলি করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও শর্ট গান থেকে গুলি ছোড়ে।এসময় পুলিশ দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে বলে জানাই স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও আন্দোলনকারীরা রাস্তায় রয়েছে। যানবাহন-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পুরো উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে শহরের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট