লুটপাটের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার ঝিনাইদহের দত্তনগর কৃষি খামারটি। যে যেমন পাচ্ছে লুটেপুটে খেয়ে আখের গুছিয়ে চলে যাচ্ছে।
এবার পাথিলা ফার্মের উপ-পরিচালক কামাল উদ্দীনের স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভারকে খামারের কর্মী হিসেবে সরকারি বেতন প্রদানের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তথ্য বলছে, দুই বছর এই ফামের্র উপপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন মোঃ কামাল উদ্দিন। কামাল উদ্দিনের নামে আগেও অনেক অনিয়মের অভিযোগ ছিল। কামাল উদ্দিন এবার তার স্ত্রীর ব্যবহৃত গাড়ির ড্রাইভার রিপন বিশ্বাসকে পাথিলা ফার্মের শ্রমিক হিসেবে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ মাস ধরে বেতন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, ফার্মের উপপরিচালক পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারে বসবাস করেন। তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৫০০৪) রয়েছে। এই গাড়ি চালানোর জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় ঝিনাইদহ পৌরসভার উদয়পুর গ্রামের মোঃ ইনতাজ বিশ্বাসের ছেলে মোঃ রিপন বিশ্বাসকে। রিপন পেশাদার গাড়ি চালক। সে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত ৫ মাস রিপন বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর শাখা সোনালী ব্যাংকের একটি হিসাবে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এর আগে দত্তনগরের পাথিলা ফার্মের শ্রমিক হিসেবে রিপন বিশ্বাসের একটি স্যালারি একাউন্ট খোলা হয় জীবননগর সোনালী ব্যাংক শাখায়। গত মাসের শেষের দিকে রিপন বিশ্বাসের একাউন্টে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকার একটি ট্রানজেকশন হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় ভুলের কারণে এটি হয়েছে। এর মধ্যে রিপন বিশ্বাস আবার এই টাকা একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে খরচ করে ফেলেন। যেকারণে বাধ্য হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ঝিনাইদহ শহরে টাকা উদ্ধারের জন্য আসতে হয়। তখন রিপন বিশ্বাস মূলত পাথিলা ফার্মের উপপরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিনের স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক হলেও ফার্মের শ্রমিক দেখিয়ে তার বেতন পরিশোধের বিষয়টি সামনে আসে।
অভিযোগ উঠেছে এমন অনেক নামে-বেনামে শ্রমিক সাজিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছেন দত্তনগরের ৫টি ফার্মের উপ-পরিচালকরা। ড্রাইভার রিপন বিশ্বাস খবর নিশ্চত করে জানান, কামাল স্যার তাকে জীবননগর শাখা সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট করতে বলেছিলেন। তবে আমি খামারে কাজ করিনা। কামাল স্যারের পরিবার থাকে ঝিনাইদহ শহরের ঝিনুক টাওয়ারে। আমি তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি চালায়। এবিষয়ে কামাল উদ্দিন বলেন, আমার হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছি। আমার ফার্মে দুইশতাধিক কর্মী কাজ করে। রিপন বিশ্বাসও তেমনি হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে আমার বাচ্চাদের আনা নেওয়ার কাজ করেন। সরকারিভাবেই তার বেতন দেওয়া হয় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। তিনি বলেন, এতে কোন অনিয়ম নেই।
এবিষয়ে জানতে অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক একেএম কামরুজ্জামানের মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট