সোনাতলার হাজী হাছান আলী আকন্দ মহিষ পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি একজন সফল খামারী। প্রায় ২০ বছর আগে ৭টি বাচ্চা মহিষ ক্রয় করে খামার শুরু করেন। এক সময় তা বয়সে পূর্ণতা লাভ করার পর সেখান থেকে প্রতি বছরে তার মহিষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। টাকার প্রয়োজন হলে ছয় মাস বয়সের প্রতিটি বাচ্চা মহিষ ৫৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এর পরও তার খামারে এখন ছোট-বড় ৮০টি মহিষ রয়েছে। মহিষ খামারী হাজী হাছান আলী আকন্দ সারিয়াকান্দী উপজেলার শিমুলতাইড় যমুনার চরাঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন। মহিষ পালনের সুবিধার্থে সোনাতলা উপজেলার গড়ফতেপুর ও সুজাইতপুর গ্রামে পৃথক বাড়ি করেন। বন্যার সময় যমুনায় পানিতে একাকার হলে সেখান থেকে মহিষগুলো সোনাতলায় উচুঁ নিরাপদ জায়গায় রাখেন। মহিষগুলো তদারকির জন্য তার ছেলে আল-আমিনসহ ৩ জন কর্মচারী বা রাখাল রয়েছে। তাদেরকে প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় ৪৫ হাজার টাকা। আর প্রতিদিন মহিষগুলোকে তিন হাজার টাকার খাবার খাওয়াতে হয়। কর্মচারী বা রাখালেরা সকালে মহিষগুলোকে খড়,ভুষি ও পানি খাওয়ানোর কাজ করে। বর্তমানে তার ২৮টি মাদী মহিষ থেকে প্রায় ১১০ লিটার দুধ হয়। মা মহিষ থেকে বাচ্চা মহিষ হওয়ার পর দৈনিক দুধের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। তিনি প্রতি লিটার দুধ পাইকারি দামে বিক্রি করেন ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। সারাদিন ঘাস খাওয়ানোর পর বিকেলে নির্দিষ্ট স্থানে বেঁধে রাখা হয়। পাশেই রাখালেরা ছইঘর তৈরি করে সেখানে রাত যাপন করে। ঝড়ো-হাওয়া,শীত ও কুয়ার মধ্যে তাদেরকে যাযাবরের মতো দিন কাটাতে হয়। এমন দুর্যোগের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে মহিষগুলোকে ভীষণ কষ্টে থাকতে হয়। কারণ, এতগুলো মহিষ রাখার মতো কোনো ঘরের ব্যবস্থা নেই।
খামারি হাছান আলী মনে করেন, অনুদান হিসেবে সরকার থেকে মহিষগুলোর রাখার ব্যবস্থা ও খাবারের ব্যবস্থা করলে আমার জন্য অনেকটা উপকার হতো। বর্তমানে খইল,ভুষি ও খড়ের দাম বেশি। মহিষ পালনের স্বার্থে তাকে বেশি দামে এসব খাদ্য কিনে খাওয়াতে হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকী জানান,হাছান আলী মাঝে-মধ্যে আমাদের দপ্তরে পরামর্শ নিতে আসেন। আমরা তাকে সার্বিক পরামর্শ দিয়ে থাকি। তিনি খামার করে লাভবান হচ্ছেন। তার দেখে অন্যদেরও মহিষের খামার করা উচিত।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট