বাপরে বাপ এনা ঝড়ি পড়লেই ভাড়া ৫০ টেকা, সন্দে নাগলেই ভাড়া ডবল হয়, ঈদের ৭ দিন আগে পরে আবার ভাড়ার সমান বোনাস দেওয়া নাগে। শালারা ডাকাত আছলো, মোকামতলা ৩০ টেকা আর বগড়ো ৮০ টেকা হামি কেংকা করে দেমো? দিনে কামাই করি ২০০-৩০০ টেকা। কথাগুলো দিনমজুর বাদশা মিয়ার। সোনাতলা মোকামতলা হয়ে বগুড়া যাতায়াতকারী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ভাড়া নিয়ে কথাগুলো বলেছেন তিনি। সন্ধ্যার পর থেকে মোকামতলা থেকে সোনাতলার ভাড়া বাড়তে থাকে রাতে দ্বিগুন হয়ে যায়। ভাড়ার বিষয়ে সিএনজি চালকদের ব্যবহারও ঔদ্ধৌত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছে ভুক্তভোগী যত্রীরা।
গত একমাস যাবত বগুড়া মিনিবাস মালিক সমিতির তত্ত¡াবধানে সোনাতলা এক্সপ্রেস নামক মেইল বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। সোনাতলা রেলগেট বাসস্ট্যান্ড থেকে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘন্টা। অনেক সময় পুরান বগুড়া রেলগেট এবং চার মাথায় যানজটের কারনে এক ঘন্টার চেয়ে ১০ -১৫ মিনিট বেশি সময় লেগে যায়। সোনাতলা থেকে বগুড়ার ভাড়া ৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে মিনিবাস মালিক সমিতি। ভাড়া কম এবং সিএনজির চেয়ে বাস অধিকতর নিরাপদ হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। সোনাতলা এক্সপ্রেস বাস চালু হওয়ায় যাত্রীরা ভীষণ খুশি।
যাত্রীরা খুশি হলেও ভ্যানচালক ও প্রাইভেট গাড়ি ও পথচারিদের অভিযোগের শেষ নেই। শহরে প্রবেশ মুখে রেলগেট বাসস্ট্যান্ডে আগের মতো আর জায়গা না থাকায় এবং বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রেলগেট এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সোনাতলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব সোহেল খান বলেন রেলগেটে এক সময় পর্যাপ্ত জায়গা ছিল, তখন এখানে বাস ঘুরানো সহজ হতো। বর্তমানে এখানে বাস ঘুরানোর মতো জায়গা নেই। যেটুকু জায়গা আছে তাতে দুই দিক থেকে দুই বাস এসে পড়লে রেলগেটে যানজট লেগে যাচ্ছে। রেলগেট হলো সোনাতলায় প্রবেশের প্রধান সড়ক। এছাড়াও রেলগেটের আশেপাশে সরকারি বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্কুল অবস্থিত। স্কুলগামী শিশুদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং পৌরবাসীদের নির্বিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত ও যানজট নিরসনে সোনাতলা বাসস্ট্যান্ডকে রেলগেট থেকে সরিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থান্তরসহ স্থায়ী টার্মিনাল নির্মান এখন সময়ের দাবি। এছাড়াও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে এবং শহরকে বর্ধিত করতে হলে বাস টার্মিনাল শহরেই বাইরে হওয়াই যৌক্তিক বলে তিনি মনে করেন।
মিনিবাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন সুবিধামত স্থানে বাস টার্মিনাল নির্মান হোক এটা তারাও চান এতে তাদের কোন আপত্তি নেই। রেলগেটে যানজট নিরসনের জন্য তারা নিজেরাও চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান বাস টার্মিনাল কোথায় স্থানান্তর করা যায় সোনাতলাবাসীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেয়া হলে এ বিষয়ে যুক্তিসংগত উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে পৌরসভাকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে। বর্তমানে পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাননি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট