সোনাতলায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোছাঃ সাজেদা বেওয়াকে (৭০) হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। এ ব্যাপারে আহত মহিলার ছেলে বেলাল হোসেন বেপারী ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন যে, ছাতিয়ানতলা গ্রামের আমার মামা আব্দুল হামিদ (আলম)-এর বাড়িতে আমার মা বেড়াতে যায়। সেখানে বিবাদী একই এলাকার মৃত নজির হোসেন মন্ডলের ছেলে সোহেল রানা বাবু (৪০),নান্টু মন্ডল(৪৫),মিন্টু মন্ডল (৪২),নান্টু মন্ডলের ছেলে রিপন (২০),নান্টু মন্ডলের স্ত্রী রূপালী বেগম (৪০) ও উত্তর কালাইহাটা গ্রামের মজনু মিয়ার স্ত্রী ও মৃত নজির হোসেন মন্ডলের মেয়ে নাজমা বেগম (৫০) সকাল ১১টার দিকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আকস্মিক ওই বাড়ির আঙ্গিনায় যেয়ে আমার মায়ের মাথা,হাত,পা-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি, লোহার রড,গাছের ডাল,ধারালো ছুরি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও আঘাত করে। এতে আমার মা সাজেদা বেওয়া গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে ওই বাড়ির ও আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আমার মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত মহিলার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোনাতলা হাসপাতাল থেকে জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয়রা জানায় বিধবা সাজেদা বেওয়া একজন শান্ত ও ন¤্র প্রকৃতির মহিলা। তাকে আহত করার বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া উচিত।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট