“স্কোপোলামিন” এক ধরনের ড্রাগ,যা ধুতরা ফুল বা এর বীজের সাথে কিছু ক্যামিকেল মিশিয়ে গুড়া বা তরল আকারে তৈরি করা হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ইঞ্জেকশন আকারে।মানুষের দেহে প্রবেশ করিয়ে তার কাছ থেকে গোপন কথা বের করা হতো। এটি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধজনক কাজে। এটি কোনো কাগজে লাগিয়ে মুখের সামনে ধরলে তা নিশ্বাসের সাথে ভিতরে ঢুকলে সাথে সাথে সে মানুষটি পুরোপুরি বশীভূত হয়ে যায়,তাকে তখন যা বলা যায় তাই শোনে।মানুষ তার কাছে যা আছে সবকিছু দিয়ে দেয়।এটা এখন ঢাকা সহ বিভিন্ন বড়ো শহরে ছড়িয়ে পরেছে। সাধারণত ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি দূর থেকে এই স্কোপোলামিন মানুষের নাকের ভিতরে প্রবেশ করে। যারা এটি ব্যবহার করে তারা তাদের মুখে মাস্ক লাগিয়ে থাকে। কোন ভিজিটিং কার্ড বা কাগজের সাথে মিশিয়ে তা দেখানোর জন্য নাকের সামনে নিয়ে এলেই তিনি হিপনোটাইজড বা বশীভূত হয়ে যাবেন। তখন তাকে যা বলা হবে তাই শুনবেন। নতুন ধরনের এ প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকতে হলে আমাদের জনসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক লাগিয়ে চলতে হবে।অপরিচিত কারও দেয়া কিছু খাওয়া, এমনকি মুখের সামনে কোনো কাগজ নিয়ে এলে সেটা এড়িয়ে যেতে হবে। শয়তানের নিশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে।