তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৫মাস সময় লেগে যায়। কমিটি ১০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করেন। তারপর তিন মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
যে কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ৬টি সংগঠন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ তিন দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল আন্দোলন-কমসূচি ঘোষণা করে।ইতিমধ্যে প্রাথমিকের অন্যান্য সকল সংগঠন এই দাবি ও কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে।
সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনুর আল-আমীন বলেন, আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব ও মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের সব সময়ই আশার বানী শুনিয়েছেন। বিশেষ করে উপদেষ্টা মহোদয় খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন বলে আমরা জানি।
আমরা কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের সামান্য একটু সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ-শিক্ষক ১২তম গ্রেড, চার বছর পরে সিনিয়র শিক্ষক ১১তম গ্রেড, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১১তম সাথে দায়িত্ব ভাতা পাবেন এবং প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন। আমরা শুধু চার বছরের শর্তটা তুলে দিয়ে শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেড দাবি করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে জানতে পারলাম আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আবার আটকে আছে এই সুপারিশের বাস্তবায়ন। আমরা কোনো ধরনের জটিলতা বুঝি না।সরকারের নিকট আবেদন কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের সামান্য সংশোধন করে দ্রুত বাস্তবায়ন করুন।