সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ‘ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৫/১’-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ফেলোদের উদ্দেশে বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কৌশলগত নেতৃত্ব অপরিহার্য। দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দক্ষ ও স্বনির্ভর জাতি গঠনে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ক্যাপস্টোন ফেলোরা সৃজনশীল চিন্তাধারা, সংস্কারমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করবেন।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে আয়োজিত ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।আইএসপিআর জানায়, মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্রাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ‘ক্যাপস্টোন কোর্স ২০২৫/১’ গতকাল সমাপ্ত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফেলোদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সিনিয়র প্রতিনিধি, কূটনীতিক, সাংবাদিক, করপোরেট প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৩২ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ক্যাপস্টোন কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং তিনি তাঁর ভাষণে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা ও সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বনির্ভর ও দক্ষ জাতি গঠনে এবং সুসংহত নেতৃত্বের বিকাশে এই কোর্স উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। ক্যাপস্টোন ফেলোরা সম্ভাবনাময় নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে সৃজনশীল চিন্তাধারা, সংস্কারমূলক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে জনস্বার্থে আত্মনিয়োগ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক কোর্সের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারা বিকাশে এই কোর্স একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম। ফেলোদের অংশগ্রহণ কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে শক্ত সেতুবন্ধ গড়ে তুলেছে।