গত ১১ মে ২০২৫ ইং তারিখে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল চ্যানেল টুয়েন্টিতে আব্দুল্লাহেল কাফি নিপনের পরিবেশিত বিষয়ে বর্ণিত সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সর্বসাধারনের দৃষ্টি আকর্ষন পুর্বক জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত সংবাদ সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তকর। মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন না করে সংবাদপত্রে সংবাদ পরিবেশন করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থী। অভিযোগকারীর তথ্য যাচাই বাছাইসহ অভিযুক্তের বক্তব্যও সংবাদে প্রকাশ করার নিয়ম থাকলেও আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আমার কোন বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি যা বাংলাদেশ প্রেস এ্যাক্টের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বাংলাদেশ প্রেস এ্যাক্ট এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আস্থাশীল থেকে আমি প্রকৃত ঘটনা নিম্নে বর্ণনা করলাম–
অভিযোগকারী মামুনুর রশিদ একজন এনজিও কর্মচারী, সে একজন উগ্র, মিথ্যুক, ভন্ড এবং প্রতারক। তার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে পত্রিকায় যে তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। প্রকৃত সত্য হলো তার প্রথম স্ত্রী বর্তমানে জীবিত। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাকে তালাক দিয়ে অন্য পুরুষকে বিবাহ করে সংসার করে যাচ্ছেন। আমার বিবাহের সময় অভিযোগকারী মামুন এই তথ্যটি সম্পূর্ণরূপে গোপন করে যায়। বিবাহের সময় সে তার নতুন বাড়ির জন্য আমার নিকট থেকে আসবাবপত্র এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা নেয়। বিবাহের প্রথম দিন থেকেই সে এবং তার পরিবারের লোকজন আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করতে থাকে এবং আরো ৫ লক্ষ টাকার যৌতুক দাবি করতে থাকে। এরপরও আমি তার সাথে সংসার করার চেষ্টা করে গেলেও বিবাহের পর থেকে অদ্যবধি আমার কোন খোরপোষ প্রদান করেনি। এমনকি তার বাড়িতে থাকার জায়গাও দেয়নি বর্তমানে আমি আমার পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করছি। আমি সরকারি চাকরি করি বিধায় আমার মাসিক বেতন তার হাতে তুলে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এমতাবস্থায় তার অভিভাবকদের নিকট এর প্রতিকার চাইলে তারা প্রতিকার না করে আমাকে শারিরীকভাবেও নির্যাতন শুরু করে। এমতবস্থায় আমি বগুড়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এ মামলা করি। মামলা নং ৭৪ পি/২০২৫ নারী যা বর্তমানে তদন্তাধীন। আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী বিধায় প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থাশীল হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজ–কর্ম করে আসছিলাম।
মামলার পর থেকেই সে আমাকে এবং আমার আত্মীয় স্বজন এবং পরিচিতজনদেরকে ফোনে এবং সরাসরি হুমকি প্রদান করতে থাকে। আমার কর্মস্থল শিচারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পথেঘাটে চলাচলে আমাকে বাধা প্রদানসহ আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করে। এরপরও সে আমাকে অপহরণ অথবা মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সোনাতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি যার নম্বর ১৬৩২। সকল মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য অভিযোগকারী মিথ্যা অপবাদ নিয়মিতভাবে রটিয়ে বেড়াচ্ছে। এরকম একজন নারী নির্যাতনকারী, ভন্ড, প্রতারকের মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর প্রচারনার বিরুদ্ধে সর্বসাধারণকে সচেতন থাকার অনুরোধ রইলো।
মোছাঃ রুখসানা খাতুন
দক্ষিণ আটকরিয়া, বালুয়াহাট
সোনাতলা, বগুড়া
মোবাইল নং ০১৩০৫ ৮৯৫১৩৮
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট