১০ হাজার বছর আগে পোশাকের কোনো ধারণাই ছিলো না। মানুষ প্রথম শরীর আবৃত করতে আরম্ভ করেছিলো গরম-ঠান্ডার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করবার প্রয়োজন থেকে। তারপর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় মানুষ আজ চাঁদে বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখছে। মানুষের কাজে এগিয়ে আসছে,মানুষেরই তৈরী যন্ত্রমানব। মাত্র কয়েক ঘন্টায় এখন আমরা পাড়ি দিচ্ছি-পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথায়। বিস্ময় মানবী সুনিতা উইলিয়ামস মহাশূন্যে হেঁটে রেকর্ড গড়েছেন। মানুষের জীবন বলতে গেলে এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের হাতের মুঠোয়। ছোট্ট একটা মেয়ে মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তো সেদিন চিকিৎসা বিজ্ঞান দূর দূর ক’রে তাড়িয়ে দিলো করোনা নামের মহা আতঙ্ককে। আমরা আসলে একধরণের মুখোশধারী শয়তান হয়ে উঠেছি। বিপদে পড়লে বিজ্ঞানের সুবিধার কাছে ছুটে যাই,বিপদ পার ক’রে ফেললেই পাষবিক মাংস পিণ্ডের গণ্ডিতে আবার ফিরে আসি। পৃথিবীতে একমাত্র বিজ্ঞানী দুই বার নোবেল পেয়েছেন এবং তা বিজ্ঞানের উপরেই। এবং তিনি নারী। এই যে পোশাক পোশাক ক’রে এক শ্রেণির উন্ মানুষ আমাদের কান ঝালাপালা করে তোলে,তাদের অবগতির জন্য বলছি,পৃথিবীতে প্রথম পোশাক এসেছে নারী সমাজের হাত ধরেই। নারী সমাজেরই আবিষ্কার এই পোশাক। ফিরে আসি সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বাড়তি মাতব্বরির দিকে।
সরাসরি তাদের কিছু না বলে একটা গবেষণাধর্মী তথ্য দিই। যেদিন থেকে পৃথিবীতে লাম্পট্য এসেছে,সেদিন থেকেই নারীর পোশাক নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে। এখন আমাদের জানা দরকার-বাংলাদেশ ব্যাংক কি যথাযথ কাজকে পাশ কাটিয়ে লাম্পট্যের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে? নইলে নারী কেমন পোশাক পরবে-এদিকে তাদের দৃষ্টি গেলো কেন?