নূরুল কবীর ফেসবুকে লেখেন, অত্যন্ত অবাক করার বিষয় হল, তথ্য মন্ত্রণালয় প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে আমার নাম, সেটাও ভুল বানানে গেজেটভু্ক্ত করেছে আমার পূর্বানুমোদন ছাড়াই। অতীতে একাধিক সরকার এ কাউন্সিলে থাকতে আমাকে অনুরোধ করেছে, যা বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছি।
তিনি লেখেন, কিন্তু এবার সরকার বা অন্য কেউ আমার সম্মতি নেওয়ার চেষ্টাটুকুও করেনি। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রেস কাউন্সিলের কমিটি থেকে আমার নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।
প্রেস কাউন্সিলের ১২ সদস্যের যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে নূরুল কবীর ও মাহফুজ আনাম ছাড়াও রয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
এ ছাড়া ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক রমিজ উদ্দিন চৌধুরী ও নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান রয়েছেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব মো. ফখরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীনও আছেন কমিটিতে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. এ কে এম আবদুল হাকিমকে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান করে অন্তর্বর্তী সরকার; তাকে তিন বছরের জন্য ওই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া মো. নিজামুল হকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ গত ৯ সেপ্টেম্বর বাতিল করা হয়। তার আড়াই মাস পর দায়িত্ব দেওয়া হয় আবদুল হাকিমকে।