বগুড়ার সোনাতলায় পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই)। ১৯৬৬ সালে ৪ দশমিক ৪৫ একর জায়গার ওপর স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠান। জনবল সংক্রান্ত তথ্য হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানে সুপারিনটেনডেন্ট-সহ ৩৭টি পদ সরকারিভাবে অনুমোদন রয়েছে। পূরণ রয়েছে সুপারিনটেনডেন্ট ১টি পদ,সহকারী সুপারিনটেনডেন্ড ২টি পদ, ইন্সট্রাক্টর সাধারণ-সহ অন্যান্য বিভাগে ৪টি পদ-সহ মোট ১৯টি। শূন্য রয়েছে ইন্সট্রাক্টর ৮টি,অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১টি সহকারী লাইব্রেরীয়ান কাম ক্যাটালগার ১টি পদ ও নৈশ প্রহরী পদসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৮টি পদ শূন্য রয়েছে। দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারী পদ অনুমোদিত রয়েছে ৬টি। এ পদে ৬ জন কর্মরত আছেন। সুপারিনটেনডেন্ট আ.ন.ম.ছাইফুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আসা ৮৫ জন শিক্ষক সোনাতলা পিটিআই-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। স্বল্প সংখ্যক ইন্সট্রাক্টর দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এছাড়া অন্যান্য পদে লোক না থাকায় অফিসিয়াল কাজসহ বিভিন্ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদগুলো পূরণ হলে শিক্ষা গ্রহণসহ অফিসিয়াল যাবতীয় কাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। মাঠের পূর্ব পাশে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট পুরনো ভবন। এ ভবনে বেড অনুযায়ী লোক ধারণ ক্ষমতা ৭২ জনের। কিন্তু ভবনটি অতি পূরনো হওয়ায় তা দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবনটি বসবাসে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরবর্তীকালে তিনতলা বিশিষ্ট করে মহিলা ও পুরুষ হোস্টেল নির্মিত হয়েছে। সুপারিনটেনডেন্ট মনে করেন পরিত্যক্ত ভবন অপসারণ বা ফাঁকা করে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না। তিনি আরো জানান অফিস,শ্রেণিকক্ষ ও অন্যান্য কক্ষের জন্য আসবাবপত্র প্রয়োজনের লক্ষ্যে আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বরাদ্দ আসেনি। কবে নাগাদ যে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে তা বলা মুশকিল। এদিকে ভবনগুলোর ওপর বেশ কিছু গাছপালা রয়েছে। ঝড়ো-হাওয়ায় গাছ কিংবা গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। পুরনো ভবনের সামনের অবস্থা খারাপ। সেখানে অনেক অপ্রয়োজনীয় গাছপালা থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এসব অপ্রয়োজনীয় গাছপালা বা ঝাউ জঙ্গল পরিস্কার করা প্রয়োজন। পিটিআই মোড় থেকে পিটিআইয়ের গেট পর্যন্ত রাস্তাটি নষ্ট হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার করা হলে জনসাধারণের চলাচলে সুবিধা হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা ও পিটিআই-এ সংশ্লিষ্টরা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট