1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সোনাতলার কৃষকদলের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ রাজধানীতে জমকালো আয়োজনে হয়ে গেলো বগুড়া থিয়েটার পরিবার ঢাকার অভিষেক অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা রাশিয়া ও বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে আইপিসি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড় বেইআইনি নির্দেশনা দেব না, কোনো দলের পক্ষেও কাজ নয় : সিইসি ট্রাম্পের শুল্ক তলোয়ার ঝুঁকিতে বৈশ্বিক ওষুধশিল্প অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশও রাজধানীতে বগুড়া থিয়েটার পরিবার ঢাকার অভিষেক অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সোনাতলায় পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যানের মায়ের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক ও সমবেদনা বায়োটেকনোলজি নির্ভর ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ:শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার

ট্রাম্পের শুল্ক তলোয়ার ঝুঁকিতে বৈশ্বিক ওষুধশিল্প অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা না থাকলে বিদেশি কম্পানির ওষুধ আমদানিতে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণা বিশ্বব্যাপী ওষুধশিল্পে আলোচনার ঝড় তুলেছে। যদিও নীতিটি মূলত বহুজাতিক ব্র্যান্ডেড ওষুধকে লক্ষ্য করে, তবে এর প্রভাব বাংলাদেশের ওষুধশিল্প খাতেও পড়তে পারে। তবে ট্রাম্প শুধু ব্র্যান্ডেড ওষুধের ওপর শুল্ক আরোপ করেননি, তিনি ভারী ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ, রান্নাঘরের ক্যাবিনেট ও বাথরুমের ভ্যানিটির ওপর ৫০ শতাংশ, কিছু আসবাবের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।

জানা যায়, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। জেনেরিক ওষুধ (অ-পেটেন্ট, নন-ব্র্যান্ডেড) উৎপাদনে দক্ষতার কারণে বিশ্ববাজারে দেশের অবস্থান ক্রমেই শক্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি এখনো তুলনামূলক কম, প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ ডলার (২০২৪ সালের হিসাবে)।তবে দেশীয় কম্পানিগুলো এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মান সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে অনুমোদন পেয়েছে এবং বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছে।

এই প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরো বলেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি দেশের রপ্তানি আয়ে চাপ বাড়াবে; এমনকি বাংলাদেশি কম্পানির যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমিত হয়ে যেতে পারে। আর সরবরাহব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ব্যাহত হলে ওষুধ প্রস্তুতের প্রধান উপাদান কাঁচামালের (এপিআই) ব্যয় বাড়বে। এ ছাড়া ভারত ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের বড় সরবরাহকারী।তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করে, তবে বাংলাদেশি কম্পানির প্রতিযোগিতা আরো কঠিন হয়ে উঠবে।

তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশ মূলত জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন করে, যার চাহিদা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। এ জন্য ইউরোপ, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানির বাজার বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। ইউরোপ ও আমেরিকার মান সনদ নেওয়া কারখানার সংখ্যা বাড়ালে বাংলাদেশের ওষুধের গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার ও নভিস্টা ফার্মা লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসির সিইও কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক মার্কিন শুল্ক ঘোষণা মূলত ‘পেটেন্টকৃত বা ব্র্যান্ডেড’ ওষুধের ওপর প্রযোজ্য।অথচ বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল রপ্তানিকারকরা সম্পূর্ণ জেনেরিক ওষুধ নিয়ে কাজ করেন। তাই এই শুল্ক আমাদের বর্তমান রপ্তানির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদির বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমরা বড় পরিসরে ওষুধ রপ্তানি করি না। তবে শুল্ক যদি ভারতে বেশি আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম হয়, তাহলে তৈরি পোশাক খাতের মতো আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পও সুবিধা পেতে পারে।’

সমিতির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি এখনো সীমিত। তা ছাড়া এই শুল্কনীতি আমাদের ওপর কার্যকর হবে কি না তা পরিষ্কার নয়। তাই আপাতত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’ শুল্ক বাস্তবায়িত হলে কাঁচামাল ব্যয় ও রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে, তবে কৌশলগত প্রস্তুতি নিলে সুযোগও তৈরি হবে।

আরেকটি শীর্ষস্থানীয় কম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি জেনেরিক ওষুধ। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন শুল্কনীতি সরাসরি প্রভাব না ফেললেও সরবরাহব্যবস্থায় চাপ তৈরি করতে পারে। এখনই বিকল্প বাজারে নজর দেওয়া জরুরি। এফডিএ অনুমোদনপ্রাপ্ত নতুন কারখানা দ্রুত চালু করা দরকার। মানোন্নয়ন ছাড়া প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।’

নিজ দেশেই বিরোধিতা : ওষুধের ওপর নতুন শুল্কের বিরোধিতা করেছে ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অব আমেরিকা। তারা জানায়, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত ওষুধের উপাদানের ৫৩ শতাংশ দেশেই তৈরি হয়, বাকিটা আসে ইউরোপ ও অন্যান্য মিত্রদেশ থেকে। ট্রাকের ওপর শুল্ক আরোপ না করার পরামর্শ দিয়ে মার্কিন চেম্বার অব কমার্স বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাঁচটি আমদানি উৎস দেশ হলো মেক্সিকো, কানাডা, জাপান, জার্মানি ও ফিনল্যান্ড। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বা ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নয়। তবে আগ্রাসী শুল্ক নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের দেদার শুল্ক আরোপের বৈধতা নিয়ে সর্বোচ্চ মার্কিন আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতে ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছে এবং ৫ নভেম্বর মৌখিক যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। এই রায় ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর সর্বশেষ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্প নিজের অবস্থান ও যুক্তির পক্ষে ভিত্তি শক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে ধারণা সমালোচকদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews