বুধবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। এতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানসহ বিভিন্ন খামারিরা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান।
এ ছাড়াও এতে গবাদিপশু পালন, পল্টি খামার, প্রাণী ও প্রাণীজাত পণ্য, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং প্রান্তিক খামারি ও নারী ক্যাটাগরিতে ১৫ জনকে নগদ অর্থ, ব্রোঞ্জ, রৌপ্য ও স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘এই খাতের উন্নয়নে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ পশু পালন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা হিসেবে কাজ করছে এবং এ খাত অর্থনীতিতে শক্তি যুগিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা গবাদি পশু পালনের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছি। এ খাত অর্থনীতিতে শক্তি যুগিয়েছে।’ গবাদি পশু পালনের ক্ষেত্রে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ না করার আহবান জানান তিনি।
এখাত আরো উন্নত করতে উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্য সম্মত পশু খাদ্য সরবরাহ ও টিকাদানে সহায়তার কথা বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী-পুরুষ উভয়ে মিলে দেশিও সম্পদ গবাদি পশু পালনের মাধ্যমে তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন প্রজাতির গবাদিপশু পালন করা হচ্ছে। দেশীয় উদ্যোক্তারাও এ ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এতে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।’
তবে এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

















