তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গৃহকর্মী প্রীতি যে ফ্ল্যাট থেকে নিচে পড়ে মারা যায়, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব হয়ে যাওয়ায় রহস্য দানা বাঁধে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা সৈয়দ আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে পাশবিকতা ও হত্যার অভিযোগ করে প্রীতির পরিবার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। সেই আলোকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।প্রীতি ওরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায়ও দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আলাদা দুটি টিম করে দেওয়া হয়েছে। দুই টিম তাঁদের আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ মাত্র শুরু করেছি।আরো তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। যেহেতু মামলা তদন্তাধীন, তাই আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে না বলাই ভালো।’

এর আগে সৈয়দ আশফাকুল হককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও তানিয়া খন্দকারকে কাশিমপুর কারাগারের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন তাঁদের বক্তব্যে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় এসআই নাজমুল হাসান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের আটতলার ফ্ল্যাট থেকে নিচতলার গ্যারেজের ওপর পড়া প্রীতি ওরাংকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান বাসার কেয়ারটেকার।

চিকিৎসকের ভাষ্য মতে, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় প্রীতির। এ ঘটনায় নিহত প্রীতির বাবা লুকেশ ওরাং বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে একই ফ্ল্যাট থেকে গত বছরের আগস্ট মাসে ফেরদৌসী (৭) নামের আরেক শিশু গৃহকর্মী পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়।

















