উত্তপ্ত মিয়ানমার : জামছড়ি সীমান্তে পচা লাশের গন্ধ
অদেখা বিশ্ব ডেস্ক
-
প্রকাশিত:
শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গতকাল শুক্রবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে ৪৮ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারসংলগ্ন জামছড়ির ওপারে মানুষের মরদেহে পচন ধরার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।গত রবিবার রাতে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে তীব্র লড়াই হয় মিয়ানমারের জান্তা অনুগত বাহিনীর। পরদিন সোমবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৭৭ জন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।ওই দলে ২০০ জন ছিলেন বলে জানা গেছে। বাকি ২৩ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা কেউ জানে না।স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে, বিদ্রোহী আরাকান আর্মির হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁরা জঙ্গলে পড়ে থেকে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদেরই মরদেহের পচা গন্ধ আসছে।এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিয়ানমারের ১৭৭ জনকে রাখা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িত থাকা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলকেও আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে, এর আগে গত মাসে মিয়ানমার বিজিপির যে ৩৩০ জনকে আশ্রয় দেওয়া এবং পরবর্তী সময়ে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের এ ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।অন্যদিকে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) বরাত দিয়ে মিয়ানমার নাও পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে এবং জান্তার পক্ষে লড়াই করতে বাধ্য করছে। ওই রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরো অন্তত ১০ জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। নিরপেক্ষ কোনো সূত্রের মাধ্যমে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন