1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার বীর উত্তম আর নেই চীনের ‘ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল হেলথ প্রোমোশন অ্যাম্বাসেডর’ হলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নূর বরিশালে “শিক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: নাগরিক সমাজের করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা সোনাতলায় ‘দি গ্লোবাল কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশন’র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত খুলনায় “শিক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: নাগরিক সমাজের করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় কক্সবাজার হোটেল সী মুনের আনন্দ আয়োজন সোনাতলার বালুয়াহাট ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ ও অভিভাবক সমাবেশ বগুড়ার ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুদিবস আজ

অদেখা বিশ্ব ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪
একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেতা, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুদিবস আজ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ভয়াবহ গণহত্যা নির্যাতন সংঘটিত হয় তার বিচারের দাবিতে গঠিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়করূপে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।
জাহানারা ইমাম ১৯২৯ সালের ৩ মে অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পিতা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আলীর তত্ত্বাবধানে রক্ষণশীলতার বাইরে এসে আধুনিক শিক্ষা লাভ করেন। বিবাহিত জীবনে লেখাপড়ায় তিনি পুরকৌশলী স্বামী শরীফ ইমামের দিক থেকেও উৎসাহ পেয়েছেন।
জাহানারা ইমাম ১৯৪৫ সালে কলকাতার লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে ময়মনসিংহ শহরে বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে এক বছর শিক্ষকতা করার পর, তিনি ঢাকা চলে আসেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিএড ও ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬৮-র দিকে তিনি চাকরি ছেড়ে নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটেও শিক্ষক হিসেবেও তিনি কিছুদিন কাজ করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমাম তার প্রথম সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমীকে হারান। একই বছর তিনি তার স্বামীকেও হারান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মর্মস্পর্শী ঘটনাবৃত্তান্ত নিয়ে তিনি রচনা করেন ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১৯৯২ সালে গঠিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটিরও আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। তারই নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ‘গণ-আদালত’ সংগঠিত হয়।
জাহানারা ইমাম তার আপসহীন সংগ্রামের জন্য ‘শহীদ জননী’ নামে অভিষিক্ত হন। তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য আত্মজীবনীমূলক সাহিত্য ও অনুবাদ রচনা করেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি স্বাধীনতা পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও বহু পুরস্কার অর্জন করেন। তার রচিত গ্রন্থেও সংখ্যা ২১টি। তিনি ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews