রাজশাহীর তানোরে এক কলেজছাত্রকে তিন দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক বিয়ের আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। তবে শেষপর্যন্ত তার সব আয়োজন বিফলে গেছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে তানোর পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের আকচা ভক্তিপুর মহল্লায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকালে কলেজছাত্র মারুফ হোসেন (১৮) তানোর পৌর এলাকার আকচা ভক্তিপুর মহল্লায় বন্ধু রাকিবের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। খবর পেয়ে রাকিবের বাড়িতে ওই তরুণী মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যান।
পরে তিনি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তাকে তুলে নিয়ে তার বাড়িতে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মারুফ।
মারুফের বাড়ি তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কচুয়া মোহাম্মাদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।
মারুফের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন বিষয়টি থানায় জানানো হয়। পুলিশ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে সুরাহার জন্য বলে। কিন্তু ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনজুর রহমান টাকার বিনিময়ে কলেজছাত্র মারুফকে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ওই তরুণীর ঘরে বন্দি করে রাখেন।
পরে সন্ধ্যায় তানোর পৌর এলাকার আকচা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুনজুর রহমানের নেতৃত্বে সালিশি বৈঠকে ওই তরুণীকে বিয়ে করার সম্মতি দেয় মারুফ। কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ের আয়োজন বন্ধ হয়।
ওই তরুণী জানান, মারুফের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেম চলছে। শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। তবে পুলিশি বাধায় তার সঙ্গে বিয়ে হয়নি।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনজুর রহমান জানান, বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি সুরহার জন্য কাউন্সিলর মুনজুর রহমান দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট