মোবাইল ফোন ব্যবহার দৌড়াত্ম বেড়ে যাওয়ায় কমেছে ঘড়ি ও টর্চলাইট ব্যবহার। এতে দুর্দিন অবস্থায় দিন কাটছে মেকারদের। এখন আর সেই আগের মতো ঘড়ি ও টর্চলাইটের ব্যবহারে জৌলুস নেই। নারী-পুরুষদের জন্য ঘড়ি একটি গহনা বলা যায়। টর্চলাইট ব্যবহারের প্রচলনও ছিল অনেক। এগুলোর ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেছে। এ জায়গটি দখল করে নিয়েছে মুঠোফোন মোবাইল। কারণ এ দিয়ে ঘড়ি,টর্চলাইট ও রেডিও ও ক্যাসেটের কাজ হয়। যার ফলে ঘড়ি ও টর্চলাইট ব্যবহারের প্রচলন অনেকাংশে কমে গেছে। এরূপ অবস্থা সোনাতলার মতো সারাদেশ ব্যাপি। শখের বসে নানা বয়সের নারী-পুরুষরা নানা ডিজাইনের ঘড়ি ব্যবহার করতো সময় দেখার জন্য। হাত ঘড়ি ব্যবহার হতো গহনা স্বরুপ। আর ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দেয়াল ঘড়ি কিংবা টেবিল ঘড়ি ব্যবহার করা হতো। ঘড়ি আর টর্চলাইট যেমন ব্যবহার করতো অনেকে, তেমনি মেরামতের জন্য ছিল অনেক মেকার। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি জিনিসের একটু সমস্যা দেখা দিলেই তা মেরামত করে নেয়ার জন্য ছুটে যেতো মেকারের কাছে। মেকারদের কেউ হাট-বাজারের গলিতে খোলা আকাশের নীচে বসে কাজ করতো, আবার কেউ ছোট দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে কাজ করতো। মেকারদের অনেকে আজ বেঁচে নেই। যারা এখনো বেঁচে আছেন তাদের কেউকেউ এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন শুধু চোখে পড়ে সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পশ্চিম তেকানী গ্রামের ধীরেন চন্দ্রের ছেলে হিরেন চন্দ্র ও বালুয়া ইউনিয়নের হারিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ফনিন্দ্র ভূষণ সরকারের ছেলে প্রদীপ সরকারকে। এ দু’জন এখনো তাদেও আদি পেশার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রদীপ সরকার সোনাতলা পিটিআই মোড় এলাকায় ছোট্ট একটি রুম ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘড়ি মেকারের কাজ করেন। হিরেন চন্দ্র কাজ করেন সোনাতলা বড় বাজারের পশ্চিম পাশে খোলা আকাশের নীচে একটি গলিতে বসে। প্রদীপ সরকার কাজ করেন সোনাতলা পিটিআই মোড়ের পাশে ছোট একটি কক্ষে। তারা প্রতিনিয়ত সকাল ৯টা থেকে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত কাজ করেন। এক সময় তারা দৈনিক ৪০০ টাকা ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন। এ টাকায় তখন সংসার চলতো ভালোভাবে। বর্তমানে সেখানে দৈনিক আয় হয় ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। সামান্য এ আয়ের অর্থ দিয়ে মেকার দু’জনের সংসার চলছে দুর্দিনের মধ্য দিয়ে। পায় না তারা সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট