বগুড়ার সোনাতলা উপজেলাধীন তেকানী চুকাই নগর ইউনিয়নের মহব্বতেরপাড়া গ্রামে ৩ সন্তানের মা মমতা বেগম (৩৫) গত বুধবার সন্ধ্যা মারা গেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ জুন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান। মমতা বেগমের ভাই সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটবাড়ি চর গ্রামের মনির হোসেন ও মামা মনোয়ার হোসেন জানান,কয়েক বছর পূর্বে মমতা বেগমের বিয়ে হয় সোনাতলা উপজেলার মহব্বতেরপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদের সাথে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হয়। এমনকি মারধরও করে আব্দুল মজিদ। অন্যান দিনের মতো গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায়ও মমতা বেগমকে মারধর করেছে আব্দুল মজিদ। বিষয়টি আব্দুল মজিদের প্রতিবেশি জনৈক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে মৃত্যুর সংবাদ দেয় মমতা বেগমের ভাইদেরকে। সংবাদ শুনে মমতা বেগমের ভাই মনির হোসেন সোনাতলার চরপাড়া হয়ে বোনের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। যাবার পথে চরপাড়ায় একটি অটোভ্যান গাড়িতে মমতার মৃত্যুদেহ দেখতে পায়। ওই ভ্যানগাড়িতে ছিল মমতার স্বামী। তিনি মনির হোসেনকে দেখতে পেয়ে ভ্যানে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। এতে মজিদের প্রতি মনিরের হোসেনের সন্দেহ হয়। মনির বলেন আমার বোন মমতা বেগমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন নবী জানান স্বামী আব্দুল মজিদ তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল। তাই স্বামীর ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে মমতা বেগম। মমতা বেগমের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে আব্দুল মজিদ-সহ চারজনকে আসামী করে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ জুন সোনাতলা থানায় একটি মামলা করেন বলে ওসি মিলাদুন নবী জানান।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট