1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার বীর উত্তম আর নেই চীনের ‘ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল হেলথ প্রোমোশন অ্যাম্বাসেডর’ হলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নূর বরিশালে “শিক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: নাগরিক সমাজের করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা সোনাতলায় ‘দি গ্লোবাল কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশন’র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত খুলনায় “শিক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: নাগরিক সমাজের করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় কক্সবাজার হোটেল সী মুনের আনন্দ আয়োজন সোনাতলার বালুয়াহাট ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ ও অভিভাবক সমাবেশ বগুড়ার ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

এনডিসি ৩.০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১১৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার – পরিবেশ উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতকৃত এনডিসি ৩.০ বাস্তবায়নে মোট ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন, যার মধ্যে ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন শর্তহীন এবং ৯০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন শর্তসাপেক্ষ বিনিয়োগ ধরা হয়েছে।

তিনি জানান, এ পরিকল্পনায় ২০৩৫ সালের মধ্যে মোট ৮৪ দশমিক
৯২ মিলিয়ন টন CO₂eq নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন (৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ) শর্তহীনভাবে এবং ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন টন (১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ ) শর্তসাপেক্ষে হ্রাস করা হবে।

রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত “Third Nationally Determined Contribution (NDC 3.0) এর Validation Workshop”-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “এনডিসি ৩.০ কেবল নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নয়, বরং এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার।” এজন্য নারী, শিশু, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জলবায়ু-অভিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একইসাথে জলবায়ু পদক্ষেপগুলোকে মানবাধিকারভিত্তিক করার ওপর জোর দেন।

যুবসমাজের অংশগ্রহণের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরি, গবেষণা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের যুক্ত করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলবায়ু-সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য, পানি-স্যানিটেশন, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ও অবকাঠামো খাতকে জলবায়ু সহনশীল ও পরিবেশবান্ধব করে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় জলবায়ু শিক্ষা ও সবুজ দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। একইসাথে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরে “Just Transition” নিশ্চিত করতে হবে—যেখানে শ্রমিকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, “সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত, গবেষক ও নাগরিক সমাজ—সকলের অভিন্ন প্রচেষ্টা ছাড়া টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় দেশি-বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews