২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে প্যারালিম্পিক আসর থেকে দুই দেশকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশও তখন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে।
তবে গত বছরের সিদ্ধান্তে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে আংশিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী, প্যারিস প্যারালিম্পিকে নিরপেক্ষ পতাকার নিচে খেলেছিল দুই দেশের ক্রীড়াবিদরা।
এখন আইপিসির সদস্য সংগঠনের ভোটে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে রাশিয়া ও বেলারুশ আবারও পূর্ণ সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছে, সঙ্গে ফিরছে সব ধরনের অধিকার ও সুবিধা।
এর ফলে ২০২৬ সালের মার্চে ইতালির মিলানো–কর্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন প্যারালিম্পিকে তারা নিজেদের পতাকা ও নামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারে।
তবে এখনো ছয়টি ক্রীড়ার আন্তর্জাতিক ফেডারেশন রাশিয়া ও বেলারুশি ক্রীড়াবিদদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। অন্যদিকে, গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে রাশিয়া ও বেলারুশের ক্রীড়াবিদরা কেবল নিরপেক্ষ পতাকার নিচে এবং কঠোর শর্তে অংশ নিতে পারবে, যেমনটা তারা প্যারিস অলিম্পিকেও করেছিল।
পূর্ণ সদস্যপদ ফেরানোর ঘোষণা দিয়ে আইপিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় সব বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
রাশিয়ান প্যারালিম্পিক কমিটি একে ‘ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক আন্দোলনের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জাতীয় ও রাজনৈতিক কারণে বৈষম্য ছাড়াই ক্রীড়াবিদদের অধিকার রক্ষা করতে হবে—এ সিদ্ধান্ত তারই উদাহরণ।’
বর্তমানে রুশ ক্রীড়াবিদরা ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে নিরপেক্ষ পতাকার নিচে অংশ নিচ্ছেন।
ভোটাভুটিতে দেখা যায়, রাশিয়াকে সম্পূর্ণ বহিষ্কারের প্রস্তাব ১১১–৫৫ ভোটে নাকচ হয়, বিরত ছিলেন ১১ জন।আংশিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবও ৯১–৭৭ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়, বিরত ছিলেন ৮ জন। বেলারুশকে বহিষ্কারের প্রস্তাব ১১৯–৪৮ ভোটে এবং আংশিক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ১০৩–৬৩ ভোটে নাকচ হয়। বিরত ছিলেন যথাক্রমে ৯ ও ১০ জন।