ত্রিশালের খীরু নদীটিকে মেরে ফেলা হচ্ছে। একে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনউদ্যোগের নেতৃবৃন্দ ।
সম্প্রতি জনউদ্যোগের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সরেজমিনে ত্রিশালের খীরু নদীর সাম্প্রতিক করুণদশা পরিদর্শন করেছেন।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের খীরু নদী মাঝখানে প্রাচীর দিয়ে ভরাট করছে এন আর গ্রুপ। ছবি- সাখাওয়াত
তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এক রীটের রায়ে বাংলাদেশের সব নদ-নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দখল ও দূষণ করার অর্থই হলো নদ-নদীর জীবন্ত সত্ত্বাকে হত্যা করা। প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণকেও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
ময়মনসিংহ ঢাকা মহাসড়কের ত্রিশালের চেলেরঘাট ব্রিজ থেকে বাম দিকে তাকালেই খীরু নদী দখলের দুঃসাহসিক দৃশ্যটি যে কারো চোখে পড়বে। নদীর অর্ধেকেরও বেশি যায়গা জুড়ে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। জনউদ্যোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গতকাল নিজের ফেইসবুক ওয়ালে মোহাম্মদ নাঈমুল হাসান নামীয় স্হানীয় একজন সচেতন নাগরিক একটি সংবাদ আপলোড করেন। এর সূত্র ধরে জনউদ্যোগের আহবায়ক অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাড. আবদুল মোত্তালেব লাল, সদস্য কাজী মোঃ মোস্তফা মুন্না, অ্যাড. মতিউর রহমান ফয়সাল, প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাঈমুল হাসানসহ ত্রিশালের কয়েকজন সাংবাদিক সরেজমিন পরিদর্শনে আজ সকালে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। স্হানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, N.R GROUP নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান কয়েক বৎসর যাবৎ ওই এলাকায় অর্গানিক ডেইরি খামার ও সবজি বাগান নামে একটি বিশাল প্রজেক্ট গড়ে তুলছে।
তারা জানান খামারের জন্য ক্রয়কৃত ভূমির সাথে খাস জমি ও নদীর যায়গা মাটি ফেলে ভরাট করে প্রজেক্টের এরিয়া বাড়িয়ে নিচ্ছে। প্রভাবশালী লোকজনের সহায়তায় উক্ত দখল প্রক্রিয়া চলছে। জেলার নদ-নদী ও খাস জমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সাথে জনউদ্যোগ খীরুসহ জেলার সকল নদ-নদী সুরক্ষা ও দখলকৃত যায়গা পুনরুদ্ধারের দাবীতে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট