অতীতকালে মানুষ বুঝতে পারতো না কেন সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ হয়? এখন প্রাইমারীর শিক্ষার্থীরাও তা জানে৷
বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী গ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন ধারণা করে, যার সবগুলোই হাস্যকর ধরনের ভুল। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও বিষয়টি বিভিন্নরকমভাবে এসেছে যা ভুল বলেই প্রমাণিত। কোন ধর্মগ্রন্থেই সঠিক কথা বলা নেই৷ একটি উদাহরণ-
মহাভারতের মতে:
রাহু দেবতা নয় কিন্তু দেবতাদের সাথে দেবতার ভাব ধরে সেও একদিন অমৃত পান করছিল। বিষয়টি সূর্য ও চন্দ্রের নজরে আসে। তারা দেবরাজ ইন্দ্রকে বিষয়টি জানায়। ইন্দ্র তলোয়ারের এক কোপে রাহুর মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেয়। রাহু গলা পর্যন্তই অমৃত পান করেছিল ততক্ষণে। তাই মাথা ও গলা অমরত্ব লাভ করে আকাশে চলে যায়। সেই ক্ষোভে সুযোগ পেলেই রাহু প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সূর্য ও চন্দ্রকে গিলে ফেলে। কিন্তু তার ধর না থাকায় গলা দিয়ে সূর্য ও চন্দ্র বের হয়ে যায়। এজন্য গ্রহণকে রাহুর গ্রাসও বলা হয়।
বিজ্ঞান কি বলে?
যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ অবস্থান নেয়, তখন পৃথিবীপৃষ্ঠের পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে সূর্য চাঁদের পেছনে আড়ালে চলে যায় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে। আবার পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে তখন পৃথিবীর আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়।
কোনটা আমরা গ্রহণ করবো?
বিজ্ঞানের বিষয়টি পরীক্ষিত। এটা বাস্তবে প্রত্যক্ষ এবং গাণিতিকভাবে প্রমাণ করা যাচ্ছে। তাই বিজ্ঞানের মত গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের কোন পথ নেই। অন্য বিশ্বাস হাস্যকর, অযৌক্তিক বলেই বাতিল করা যায়।