1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পলাশবাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সেনা হস্তক্ষেপে যাত্রীদের অর্থ ফেরত পায়ের ব্যথা যেসব রোগের লক্ষণ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বর্ষার শুরুতেই সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর হরমুজ প্রণালী: ইরানের এক অদৃশ্য কিন্তু কার্যকর অস্ত্র ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার অফিস খুলছে সোনাতলায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবারকে শিল্পপতি রিপনের আর্থিক অনুদান প্রদান মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ১৬ ‍দিন পর আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন ভেটো

কিছুই অলৌকিক থাকেনি!

মজিব রহমান
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
দীর্ঘদেহি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য ১৫৩৩ খ্রীষ্টাব্দে আষাঢ় মাসের শুক্লা সপ্তমী তিথিতে পুরীধামে ৪৮ বছর বয়সে গান গাইতে গাইতে ঢুকেন জগন্নাথ মন্দিরে৷ ভক্তরা তাঁকে আর দেখেননি৷ তাঁর জাতপাতহীন বৈষ্ণব চেতনা ব্রাহ্মণদের চতুবর্ণ প্রথার পরিপন্থী ছিল৷ ওই মন্দিরের ভিতরেই তার লীলাবসান ঘটে। প্রচার হয় পুরীধামের জগন্নাথের দেহাভ্যন্তরে তিনি লীন হয়ে যান। কিন্তু ২০০০ সালে ঘটে এক ভিন্ন ঘটনা৷ ওই মন্দির সংস্কার করতে গিয়ে এর মেঝের নিচে আবিস্কৃত হয় এক দীর্ঘদেহি নরকঙ্কাল! মন্দিরের ভিতরে ছয়ফুটি কঙ্কাল নিয়ে হইচই হয়৷ কার্বন টেস্ট করে জানা যায় এই কঙ্কালের বয়স ৫ শ বছরের বেশি এবং মৃত্যুর সময় বয়স ছিল প্রায় ৫০! কি ঘটেছিল ১৫৩৩ খ্রিষ্টাব্দে বুঝতে অসুবিধা হয় না৷ অলৌকিক ব্যাখ্যাহীন বিশ্বাসগুলো এভাবেই লৌকিক হয়ে যায়৷
খ্রিষ্টাব্দ ধরা হয় যিশুখ্রিস্টের জন্মক্ষণ থেকে৷ ৩৩ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাটের নির্দেশে যিশুকে ধরে আনা হয়৷ ধর্ম প্রচারের জন্য তাকে নগ্ন করে প্রথমে পীত্ত মিশিয়ে প্রহার করা হয়৷ অর্ধমৃত অবস্থায় তাঁকে ক্রুসে ঝুলিয়ে দেয়া হয়৷ কপালে, হাতে, পায়ে গজাল মেরে দেয়া হয়৷ ক্রসবিদ্ধ যিশু আরো ছয় ঘণ্টা কষ্ট সহ্য করে বেঁচেছিলেন৷ তখন এভাবে রক্ত ঝরিয়ে যন্ত্রণা দিয়ে শাস্তির প্রচলন ছিল৷ আমরা দাসবিদ্রোহীদেরও এভাবে হত্যা করতে দেখেছি৷ কিন্তু হত্যার পরেই ঘটতে থাকে বিস্ময়কর ঘটনা৷ শত শত মানুষ যিশুকে বিভিন্নভাবে উপলব্দি করতে থাকে৷ যিশুর শত্রু সেইন্ট পলও এমন একটি উপলব্ধি থেকেই খ্রিষ্টান হন এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারে যিশুর চেয়েও বেশি ভূমিকা রাখেন৷ প্রচার চলতে থাকে যিশু শিঘ্রই আসবেন৷ খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থে তার ফিরে আসার কথা বলা আছে৷ এমনকি ইসলামিক গ্রন্থেও তার নবী মুহাম্মদের অনুসারী হিসেবে ফিরে আসার কথা বলা আছে৷ অবশ্য কোরআনে( ৪:১৫৭ ) বলা আছে, ‘না তাকে হত্যা করা হয়েছে, না তাকে শুলীতে চড়ানো হয়েছে’৷ বাস্তবতা হল খ্রিস্ট ধর্মানুসারে অচিরেই তিনি ফিরে আসেননি৷ ওইসব উপলব্ধি ছিল মস্তিষ্কের তৈরি করা বিভ্রান্তি৷ যার ভাল উদাহরণ সাঈদী!
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী যুদ্ধাপরাধের জন্য দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে ফাঁসির রায় দেয়া হয়৷ ওই রাতে আকাশে ছিল পূর্ণ চাঁদ৷ মাঝরাতের পরে তার হাজার হাজার অনুসারী চাঁদে সাঈদীকে দেখতে পায়৷ তার আগেই বহু মন্দিরে হামলা হয়৷ আরো পরে ফাঁসির আদেশও বদলে যায়, দেয়া হয় কারাদণ্ড! ওই চাঁদে দেখাটাকে আমরা ‘অবচেতন মনে মস্তিষ্কর বিভ্রান্তি তৈরি করা’ বুঝতে পারি৷ ফ্রয়েডের ব্যাখ্যা কি যিশু-সাঈদীর মাঝখানেও যায়?
মুসা আ. এর মৃত্যু ছিল ভিন্ন মাত্রার৷ আজরাইল তাঁর জান কবজ করতে এলে এক থাপ্পর দিয়ে উল্টো তার এক চোখ নষ্ট করে কানা করে দেয়৷ এরপর স্রষ্টা গায়েবিভাবে তাকে জানায়, তাঁর মৃত্যুর সময় হয়েছে৷ এটা হতে পারে যিশুর জন্মের ৫শ বছর আগে বা তারও আগে! তখন তার বয়স হয়েছিল ১২০ বছর৷ আমরা নবী মুহাম্মদ সা. এর জীবনেও দেখি তিনি শত্রুর পাথরে দাঁত হারান এবং এক ইহুদী নারীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করে বিষক্রীয়ায় অসুস্থ হন৷ তাঁর আয়ুষ্কাল মুসা আ. এর প্রায় অর্ধেক৷ মুছা আ. এর বড় মাজেজা হল লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া৷ তখন অন্যরাও লাঠিকে সাপ বানাতো৷ মুছা আ. এমন একটি সাপ বানালেন যে, ছোট সাপগুলোকে খেয়ে ফেললো মুছা আ. এর বড় সাপটি৷ তার মানে ওখানকার অনেকেই লাঠিকে সাপ বানাতে পারতেন৷ মজার বিষয় আজো অনেক জাদুকর লাঠিকে সাপ বানাতে পারেন৷
আমরা সেমিটিক ধর্মের প্রধান তিন প্রবর্তকের মৃত্যু মিলাতে পারি৷ মুসা আ. ১২০ বছর, যিশু আ. ৩৩ বছর ও নবী মুহাম্মদ সা. ৬২ বছর বয়সে মারা যান৷ তাদের মৃত্যুর ধরনও সম্পূর্ণ আলাদা৷ মুসা আ. স্রষ্টার সরাসরি আদেশে নিজের ইচ্ছায় মারা গেছেন৷ যিশুকে বলা হয় ঈশ্বরের পুত্র৷ নবীদের মধ্যে তাঁর মৃত্যুই সবচে যন্ত্রণাদায়ক৷ নবী মুহাম্মদ সা. রোগাক্রান্ত অবস্থায় মারা যান৷ স্রষ্টা তার প্রিয় রাসুলদের রক্ষা করেননি৷ ফলে মুছা আ. এর থাপ্পরটা গল্প হলেও বাকি দুজনের মৃত্যু একেবারেই লৌকিক হয়ে উঠেছিল৷
আমরা আরো বহু উদাহরণ টানতে পারি৷ অলৌকিক ঘটনাগুলোর বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারি৷ নতুন ধর্ম আনতে গিয়ে বিশ্বব্যাপীই ধর্মপ্রবর্তকরা ও অন্যরা— অলৌকিক শক্তির দাবিদার সুফি, সেইন্ট, পীর থেকে ফকির-ফক্কর বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকারও হয়েছেন৷ এসব নিয়ে ছড়িয়েছে বিভিন্ন অলৌকিকতা৷ বিভিন্ন মনস্তত্ত্ব ও যুক্তি প্রমাণ দিয়েই আজ এসবের ব্যাখ্যা দেয়া যাচ্ছে৷ আবার আজো কিছু লোক অলৌকিক ঘটনা ঘটানোর দাবি করেন৷ যেমন তারা ফু দিয়ে সন্তান বানান৷ কিন্তু অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসে প্রকৃত সত্য৷ পীর-ফক্করগণ কিভাবে চেতনা-নাশক বা যৌন-উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে নারীর ডিম্বাশয়ে শুক্রাণু ঢুকিয়ে তৈরি করে দিচ্ছেন অলৌকিক ভ্রূণ! সবগুলো অলৌকিক ঘটনারই রয়েছে লৌকিক প্রতারণা!!

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews