গতকাল বিকেলে পুরান ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণসহ ঢাকার পল্টন, মিরপুরসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ডেমরা এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে অর্ধশতাধিক ককটেল ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র্যাব।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন। কয়েক জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীতে যানবাহনের উপস্থিতি ছিল।
বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় সব ধরনের গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়।
আবার গুলিস্তান, বাড্ডা, তেজগাঁও এলাকাসহ কোনো কোনো সড়কে দেখা গেছে যানজটও। তবে গতকালও দূরপাল্লার বাস খুব একটা ছাড়েনি।
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অন্তত ৩০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।বিভিন্ন এলাকায় বাড়ানো হয়েছে টহল, চেকপোস্ট ও তল্লাশি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র বলেছে, ২৮ অক্টোবর থেকে যানবাহনে আগুন, নাশকতা ও হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত প্রায় হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ১৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল নতুন করে ১৭ মামলায় আরো ৪৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
এদিকে র্যাব বলেছে, হরতালকে কেন্দ্র করে গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ নিয়ে র্যাবের অভিযানে ৫৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।