1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পলাশবাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সেনা হস্তক্ষেপে যাত্রীদের অর্থ ফেরত পায়ের ব্যথা যেসব রোগের লক্ষণ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বর্ষার শুরুতেই সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর হরমুজ প্রণালী: ইরানের এক অদৃশ্য কিন্তু কার্যকর অস্ত্র ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার অফিস খুলছে সোনাতলায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবারকে শিল্পপতি রিপনের আর্থিক অনুদান প্রদান মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ১৬ ‍দিন পর আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন ভেটো

বাজারে মাছ কেটে জীবন চালানো ৬ নারী

মোঃ ফাওজুর রহমান সাবিত
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩

প্রাচীরের কোলঘেষে সারি সারি দোকান। ধরালো বটি নিয়ে বসে আছেন নারীরা। পাশে রাখা আছে ছাই আর ছ’ মিলের কাঠের গুড়া। ক্রেতারা বাজার থেকে মাছ কিনে এনে তাদের কাছে দাঁড়াচ্ছেন। হাতে থাকা ব্যাগ ভর্তি মাছ তুলে দিচ্ছেন ওই নারীদের হাতে। মাছগুলো সযত্নে কেটে বেছে আবার ব্যাগে ভরে দিচ্ছেন। মাছ কেটে দেওয়ার বিনিময়ে তাদের দেওয়া হচ্ছে কিছু পারিশ্রমিক।

এমন দৃশ্য দেখা যায় ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়া সংলগ্ন কাঁচা বাজারে। এই বাজারে ৬জন নারী প্রতিদিন মাছ কেটে তাদের জিবিকা নির্বাহ করছেন। আয়ও তাদের মোটামুটি ভালো।

মাছ কুটুনী একজন নারী উপ-শহরপাড়ার মুনজুরা খাতুন, আগে বাসা বাড়িতে কাজ করতেন। প্রতি মাসে তার যে আয় হতো তা দিয়ে দুই সন্তান নিয়ে শহরে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। বুদ্ধি খাটিয়ে তিনি একটি ধারালো বটি কিনে উপ-শহরপাড়ার কাঁচা বাজারে বসে পড়েন। প্রায় তিন বছর তিনি এই পেশায় নিয়োজিত। এখন তার সংসার বেশ ভালই চলছে।

মুনজুরা খাতুনের মতো বাজারে মাছ কুটছেন আছিয়া খাতুন, বেদানা খাতুন, চলন্তিকা, ববিতা খাতুন ও রিজিয়া।

চলন্তিকা খাতুন জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাছ কুটলে তার আয় হয় তিন’শ টাকা। কোন কোন দিন ৫০০ টাকাও আয় হয়। তবে শুক্রবার সরকারী ছুটি থাকার কারণে মাছের চাহিদা বেশি থাকে। সরকারী কর্মকর্তারা বাজার থেকে বেশি বেশি মাছ কুটে বাড়ি নিয়ে যান বলেও চলন্তিকা জানান।

রিজিয়া খাতুন জানান, ছোট বড় সবার কাছে মাছ খুবই প্রিয়। অনেকেই ছোট বড় মাছ কিনতে চান কিন্তু বাড়িতে কুটতে ঝামেলা হয়। এ জন্য মাছ কিনে বেশির ভাগ মানুষ বাড়ি নিতে চান না।

বেদানা খাতুন জানান, ছোট মাছ প্রতি কেজি তারা ৫০ টাকা করে কুটে থাকেন। এ ছাড়া বড় মাছ কুটে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পারিশ্রমিক নেন।

মেহেদী হাসান নামে এক সরকারী কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি মানুষের সংসারে দৈনন্দিন কিছু না কিছু কাজ থাকে। বাসায় স্ত্রী ও কাজের বুয়ারা এখন আর মাছ কুটতে চান না। বিশেষ করে বর্তমান জামানার মেয়েরা মাছ কুটার মতো কাজ করতেই চান না। ফলে গৃহকর্তারা বাধ্য হয়ে বাজার থেকে মাছ কুটে নিয়ে যান। এতে সংসারে শান্তিও বজায় থাকে।

কৃষি কর্মকর্তা মিলন ঘোষ জানান, এমনিতেই সারা দিন তাদের কাজে ব্যাস্ত থাকতে হয়। বাসায় কাজের লোকের সমস্যা রয়েছে। মেয়েরা রান্নাবান্নার আর ঘর গৃহস্থলীর মতো জরুরি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই সময় বাঁচাতে তিনি বাজার থেকে মাছ কিনে কুটে নিয়ে যান। এতে করে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না।

গৃহবধু মিনারা আসিফ জানান, এখন তো টাকা দিয়েও কাজের মানুষ পাওয়া যায় না। তাই সময় বাঁচাতে বাজার থেকে কেনা মাছগুলো কুটে নিয়ে যান।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধু জানান, নারীরা এখন অনেক ক্ষেত্রেই স্বাবলম্বি হচ্ছেন। মাছ কুটেও যে সংসার চালানো যায় এটা একটা নতুন আইডিয়া। তিনি বলেন, নানা পেশায় এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। আগে স্ত্রী ও মা চাচিরা বাড়িতে মাছ কুটতেন, এখন সেটা বানিজ্যিকীকরণ হয়েছে। আগামীতে হয়তো মেশিনের মাধ্যমে মাছ কুটার প্রযুক্তি আবিস্কার হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews