অনুরূপভাবে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে। এই টিমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে এই টিম গঠন করে টিমের সদস্যদের (মোবাইল নম্বরসহ) তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কিনা, অথবা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, বা নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করেছে কিনা, অথবা অন্যান্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কিনা, তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেবেন।
আচরণবিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই নির্বাচনী তদন্ত কমিটিকে জানাতে হবে। অন্যান্য নির্বাচনী বিধি-নিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারি আদালতেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে। প্রয়োজনে উদ্ভুত সমস্যাবলী তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের পরামর্শ দেবেন।
এ ছাড়া স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর তিনদিন অন্তর অন্তর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দিতে হবে।
প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গ করলে বা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বা বিধিমালার কোনো বিধি বিশেষ করে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের সদস্যসহ সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নির্বাচনি এজেন্টকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে। এই বিধান ভঙ্গের দায়ে প্রদেয় শাস্তি বিশেষ করে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলকরণের বিষয় অবগত করানো নিশ্চিত করতে হবে।