আমার জ্বর কমে গেলো পরেরদিনই। অর্জন-অরিত্রের জ্বর নেই। ফলে একটু আশাবাদী হয়ে উঠলাম। হয়ত নির্দিষ্ট দিনের আইসোলেশান শেষ করেই আমরা রওনা করতে পারব। হলোও তাই। কমিয়ে আনা ১০ দিনের আইসোলেশান শেষ করে আমরা মোটামুটি সুস্থ…. শুধু আমার কাশিটা আর দুর্বলতাটা জ্বালাচ্ছিলো। কিন্তু আরিফের মাসল পুলের ব্যথাটা খুব ভাবিয়ে তুলল। কিছুতেই সারছিলোনা। এদিকে যাবার প্রস্তুতি প্রায় কিছুই নেই। কিছু কেনাকাটা সারতে হবে। লিস্ট বানাতে হবে, ব্যাগ গোছাতে হবে। এরমধ্যে সবচেয়ে জরুরী যেটা ছিলো, সে হলো প্লাস্টিকের মাথাবন্ধ স্যান্ডেল। এই স্যান্ডেল হচ্ছে সেন্টমার্টিন স্পেশাল। যেহেতু পাথুরে বীচ ফলে মাথাবন্ধ স্যান্ডেল না কিনলে পা কেটে ফেলবার সমূহ সম্ভাবনা। ফলে আইসোলেশান থেকে বেড়িয়ে প্রথম কাজ হচ্ছে ঐ ভীষণ জরুরী সান্ডেল কিনতে যাওয়া। এবং স্যান্ডেলগুলো সত্যি ভীষণ কাজে দিয়েছিলো…. সেন্টমার্টিন পুরো ট্যুর ঐ স্যান্ডেলগুলোই পরা হয়েছে। এরপরের যে ব্যাপারটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সে হলো লাগেজ। যেকোন ট্যুরেই ছোট ব্যাকপ্যাক নিয়ে যাওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ… কিন্তু আমার তো তা হবার জো নেই। আমার ব্যাগ সবচেয়ে বড় হবেই। কিন্তু সেন্টমার্টিনে যেহেতু জেটি একটাই এবং শিপগুলো একটার সাথে একটা লেগে থাকে। একটা শিপ পেরিয়ে আরেকটা শিপ… এভাবে জেটিতে পৌঁছাতে হয়, ফলে বড় স্যুটকেস বা ব্যাগ নিলে বয়ে নেয়া কষ্ট। ফলে এবার লাগেজ ছোট ছোট বানাতেই হবে। সিদ্ধান্ত হলো যার যার ব্যাগ সে বয়ে নেবে। অগত্যা আমাকে লাগেজ ছোট বানাতেই হলো…. সেন্টমার্টিন ট্যুরের উত্তেজনা আবার চাগিয়ে উঠল… অবশেষে এলো কাঙ্খিত তিন তারিখ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট