৬ এপ্রিল ২০১৮ খ্রীস্টাব্দ। মেয়ে ও ছেলে দুই ভাইবোন মিলে তার মায়ের লাগেজ গুছিয়ে দিচ্ছে। তাদের মন খুব ভারি। আমাদের মেয়েটা বড়, সে মেডিকেল ভর্তি কোচিং করছে। তার আশা সে একজন মানবিক ডাক্তার হবে। ছেলে তার চেয়ে বছর দেড়েক ছোট হওয়াতে সে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ছে। তারও একটা আশা আছে। সেও ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং করবে। দুপুরের খাবার খেয়ে দুই ভাইবোন তার মা’কে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করলো কারণ তাদের মাকে নিয়ে আমি কলকাতা যাবো সুচিকিৎসা পাওয়ার আশায়। এক সপ্তাহ আগেই মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছি। কেবিনের টিকিট কেটেছি যেনো ওদের মাকে নিয়ে একটু ভালোভাবে যাওয়া যায়। অসুস্থ্য মানুষ, সিটে বসে থাকতে পারবেনা, তাই কেবিন নেয়া যেনো শুয়ে নিয়ে যেতে পারি। সবকিছু গুছিয়ে ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে দুপুর আড়াইটাতে মেয়ে ও ছেলেসহ দুই রিক্সায় আমরা বাসস্ট্যান্ডে গেলাম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এনা পরিবহন,ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাওয়ার সবচে ভালো বাস। আমরা বাসে উঠলাম, মেয়ে ও ছেলে তাদের মাকে বাসের সিটে বসিয়ে দিলো। আমি মেয়েকে ইশারা করলাম যেনো কান্নাকাটি না করে ওরা কেউই। মেয়েটা একটু বুঝে, ছেলেটা এখনো বুঝতে চায়না। ছেলেটা মায়ের খুব ভক্ত, মেয়েটাও মায়ের ভক্ত তবে বাবার প্রতি তার টান একটু বেশি। বাস ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। ড্রাইভার উঠে তার নির্ধারিত সিটে বসেছে। বাসের সুপারভাইজার গাড়ির সিটগুলো চেক করতে লাগলো। বাসের যাত্রীদের বিদায় জানাতে পরিবার থেকে যারা এসেছে বাসের সুপারভাইজার সবাইকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলছেন। মেয়ে ও ছেলে বাস থেকে নেমে নীচে দাঁড়িয়ে বাসের জানালা দিয়ে অপলক তাকিয়ে আছে তাদের মা’র দিকে। চোখে জল, মুখ বিষন্ন, তাদের আকাশ আজ কালো মেঘে ঢাকা, যেকোন মুহুর্তে ঝড় উঠবে।
বাস ছেড়েছে। আমি ওকে বামপাশে বুকের উপর শুইয়ে চোখ মুছে দিচ্ছি আর নেহায়েত শান্তনা দিচ্ছি। বেঁচারি, অনুভুতিহীন অবস্থায় আমার বামপাশে বুকের উপর মাথা রেখে কি যেনো ভাবছে। চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে আমার বুকের উপর একদুই ফোঁটা। আমি আর ওকে নেহায়েত শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছিনা। নিজের অজান্তেই আমার গলার ভিতর কি যেনো কুন্ডলী পাঁকিয়ে আছে,মনে হচ্ছে আমিও যেকোন মুহুর্তে হাউমাউ করে কান্না করে দিবো। হঠাৎ মনে হলো আমাকে যেকোন উপায়ে শক্ত থাকতে হবে। প্যান্টের সাইট পকেটে ফোনটা রেখেছিলাম তা হঠাৎ বেঁজে উঠলো। লিটন, আমার বড় শ্যালক, সে ঢাকা ডিবিতে কর্মরত এবং সেই সুবাদে তার অফিসিয়াল অবস্থানও ঢাকাতেই। লিটন অপেক্ষায় আছে আমরা কখন ঢাকা পৌঁছাবো সেজন্যে ফোনে জানতে চাচ্ছে আমরা বাসে কতদূর অবস্থান করছি। লিটনের সাথে কথা শেষ করে আমাদের মেয়েকে ফোনে কল দিলাম। ওরা দুই ভাইবোন বাসায় পৌঁছেছে অনেক আগেই। ওরাও টেনশন করছে আমরা ঢাকা কখন পৌঁছাবো আর ওদের মামার সাথে কথা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলো। আমরা বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালাম। ঢাকাতে আমাদের তেমন কোন আত্মীয় স্বজন না থাকায় লিটন তার অফিসিয়াল একটি হাইয়েচ গাড়ি দিয়ে আমাদেরকে হাতিরপুল একটি আবাসিক হোটেলে উঠালো। হোটেল দেখে মনে হলো মোটামুটি ভালো মানের হোটেল।
পরদিন ৭ এপ্রিল ২০১৮, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে দেয়ার জন্য লিটন আমাদের ভোর সাড়ে পাঁচটায় তার অফিসের গাড়িতে করে রওনা দিলো। আমরা হাতিরপুল থেকে সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যেই ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলাম। আমার স্ত্রী রোকেয়া। বেশ অসুস্থ্য। তাকে সুস্থ্য করে আবার সন্তানদের কাছে ফিরবো বলে ইন্ডিয়া যাচ্ছি। লিটন গরম পরোটা এনে দিলো, রোকেয়াকে পরোটা খাওয়ানো বেশ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। নিজে একটা পরোটা খেয়ে ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ালাম। সাথে অসুস্থ্য রোগী থাকায় আর বড় শ্যালক সরকারি চাকুরি করার সুবাদে একটু সুবিধা পেলাম। ইমিগ্রেশন অফিসার সাথে অসুস্থ্য রোগী থাকায় হালকা চেকেই ইমিগ্রেশন ছেড়ে দিলেন। আমি রোকেয়াকে নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে প্লাটফরমে বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর ট্রেনের কেবিনে গিয়ে উঠলাম। জীবনের প্রথম দেশ ছেড়ে বিদেশে যাচ্ছি। যদিও প্রতিবেশি দেশ ভারত তবুও বিদেশ। বিদেশে একজন সিরিয়াস অসুস্থ্য রোগীকে নিয়ে কোথায় যাবো, কি করবো, কোথায় থাকবো খাবো। সেজন্য আগেই আবুল মনসুরকে সঙ্গী হওয়ার জন্য বলেছিলাম এবং সে আমাদের সাথে যেতে রাজি হয়েছিলো, তাকে নিয়েই রওনা হয়েছি ট্রেনে। আবুল মনসুর, সে ময়মনসিংহ শহরে অনসাম্বল থিয়েটার নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্ণধার। নাটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করে বেঁড়ায়। নিজের খেয়ে বোনের মোষ তাড়িয়ে বেড়ানোই তার স্বভাব। তার গায়ের রং কুচকুচে কালো কিন্তু আমার কাছে মনেহয় তার মনটা গায়ের রং এর উল্টোটা। মনসুরের ভিসা আগেই করা ছিলো কারন সে কলকাতায় বিভিন্ন সময়েই মঞ্চ নাটকে অংশগ্রহন করার জন্য যাওয়া আসা করে। সে কলকাতার অলিগলি কিছুটা চিনে। কেবিনে এসির ঠান্ডায় রোকেয়ার সমস্যা হবে বলে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে কেবিনের লম্বা সিটে শুইয়ে দিলাম। মনসুর কেবিনের বাঙ্কে উঠে শোয়ে লম্বা ঘুম দিলো। আমি রোকেয়ার মাথার পাশে বসে ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে মেয়ে ও ছেলের কথা ভাবছি, রোকেয়ার কথা ভাবছি, আমার মৃত মা বাবার ও শ্বাশুড়ির কথা ভাবছি। আমার গর্ভধারিনী মা দেহ ত্যাগ করেন ২০০২ সালের ১৬ ডিসেম্বর,আমার বাবা দেহ ত্যাগ করেন ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, আর শ্বাশুড়ি মা দেহ ত্যাগ করেন ২০১৪ খ্রীস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল।
বিকাল সাড়ে পাঁচটায় হাওড়া রেলস্টেশনে পৌঁছালাম। আমি রোকেয়াকে নিয়ে ধীরে ধীরে নামার চেষ্টা করছি। মনসুর লাগেজ নামাতে সহযোগিতা করলো এবং সে আগেই ইমগ্রেশন পাড় হয়ে ট্যাক্সি নেয়ার জন্য লাইনের প্রথমে গিয়ে দাঁড়ালো। ট্রেন থেকে নেমেই রোকেয়া আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়লো। সে হাঁটতে পারছিলোনা। বেশ অসুস্থ্য দেখে ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত দুইজন মহিলা পুলিশ এগিয়ে এসে রোকেয়াকে পাঁজাকোলে ইমিগ্রেশন পার করে দিলো। মনসুর আগেই ট্রাক্সি ঠিক করে রেখেছে। আমরা ট্যাক্সিতে উঠে কলকাতার ডাঃ দেবিশেঠি হাসপাতালের পাশে মুকুন্দপুর এলাকায় গিয়ে আবাসিক হোটেল গোপালে উঠলাম। রবিবার উইকেনডে হওয়াতে ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ থাকায় আমরা একদিন অপেক্ষা করলাম।
এদিকে সময় যত যাচ্ছে রোকেয়ার অবস্থা খারাপ থেকে খারাপ হতে শুরু করেছে। রাতে স্পেশালিস্ট ডাক্তার ডাঃ মুহিত কারবান্দ এর সাথে ফোনে কনটাক্ট করে বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে রাতেই রোগী দেখতে রাজি হলেন এবং আমি ও মনসুর রোকেয়াকে নিয়ে কলকাতার ই.এম বাইপাস,কসবা গোলপার্ক এলাকার ডিসান প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার মুহিত কারবান্দের চেম্বারে হাজির হলাম। রোকেয়ার অবস্থা বেশ খারাপ। কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে একটি হুইল চেয়ার কিনে আনলেন মনসুর। নিজেদের হুইল চেয়ারে করেই ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম। নিবিড়ভাবেই ডাক্তার মুহিত কারবান্দ রোকেয়াকে দেখলেন। বললেন বেশ দেরি হয়ে গেছে। দেশিয় ডায়গনোসিস রিপোর্ট দেখানোর বৃথা চেস্টা করলাম। রোগী দেখার পর ডাক্তার আইসিইউতে ভর্তি দিলেন। খরচের বিষয়ে জানতে চাইলাম। বেশ খরচ হবে বললেন। তবু সাহস করলাম চিকিৎসা না করিয়ে যাবোনা। রাতেই আইসিইউতে নেয়া হলো এবং প্রয়োজনীয় ডায়গনোসিসের কাজ সম্পন্ন করা হলো। পরেরদিন বিকেল চারটাতে ডাক্তার আমাকে তার চেম্বারে ডাকলেন। হোটেল খরচ বেশী বলে মুকুন্দপুর থেকে গোলপার্কে আনন্দ মার্গ সেবা সংঘ, যেখানে আনন্দ মুর্তিজি প্রবাদ রঞ্জন সরকার এর সমাধি সেখানকার একটি রুমে গিয়ে উঠলাম স্বল্প খরচে থাকা খাওয়ার জন্য।
বিকেল চারটায় ডাক্তারের চেম্বারের গেলাম। ডাক্তার সকল রিপোর্ট হাতে নিয়ে বললেন রোগী বেশ জটিল অবস্থায় আছে। দীর্ঘদিন তার ডায়াবেটিস থাকায় এখন একসাথে তার কিডনী, লিভার ও হার্টের অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তার আমাকে আশ্বাস দিলেন তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। ১৪ এপ্রিল ২০১৮ রোকেয়ার অবস্থা বেশ খারাপ দেখে আমিই ডাক্তারের সাথে দেখা করে বললাম তাকে চেন্নাইয়ের ভেলুর নিয়ে যেতে চাই। ডাক্তার রাজি হলেন এবং সকল কাগজ পত্র প্রস্তুত করে দিলেন। আমি মনসুরকে নিয়ে বিমানের টিকিট কাটলাম। সেদিনই রাত আটটা ত্রিশে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এয়ারপোর্ট থেকে চেন্নাই এর পথে উড়াল দিলাম। রাত সাড়ে বারোটায় চেন্নাই এয়ারপোর্টে নামলাম এবং রাতেই টেক্সিকরে ভেলুর সিএমসিএইচ এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত তিনটায় ভেলুর পৌঁছলাম। টেক্সির ড্রাইভার তার পরিচিত একটি আবাসিক হোটেলে উঠিয়ে দিয়ে বিদায় হলেন।
১৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ,সকাল আটটায় নিজেদের হুইল চেয়ারে করে রোকেয়াকে নিয়ে সিএমসিএইচ এর ইমার্জেন্সিতে গেলাম। ইমার্জেন্সির দায়িত্বরত ডাক্তার রোগির অবস্থা দেখে এবং টেথিস্কোপে রোকেয়ার হার্টবিটের সন্ধান না পেয়ে আঁতকে উঠলেন। ইমার্জেন্সি কলে হাসপাতালেরই আরো দুইজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডাকালেন এবং তাদের সাথে রোগীর অবস্থা নিয়ে শেয়ার করলেন। তিনজন ডাক্তার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে বললেন রোগীকে এখনই আইসিইউতে ভর্তি করতে হবে সেজন্য কাউন্টারে ত্রিশ হাজার রুপি জমা দিতে বললেন। আমি হাসপাতালের কাউন্টারে গিয়ে রোকেয়ার নামে একাউন্ট খুলে টাকা জমা দিয়ে টাকার স্লিপ ইমার্জেন্সিতে জমা করলাম। ইমার্জেন্সিতে সারাদিন রোকেয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার পর বিকাল পাঁচটায় রোকেয়াকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলো। আমাকে সার্বক্ষনিক আইসিইউ এর বারান্দায় থাকতে বলা হলো কারন কখন কি লাগে। আইসিইউতে রোকেয়াকে রেখে কম খরচে থাকার জন্য হাসপাতালের সামনে কটেজের একটি রুম ভাড়া নিলাম মনসুরের থাকার জন্য। আবাসিক হোটেল থেকে মনসুরকে কটেজের রুমে রেখে আমি রাত নয়টায় আবার আইসিইউ এর বারান্দায় চলে আসলাম। রোকেয়ার অবস্থা এমনই খারাপ ছিলো যে, চেন্নাই এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পর থেকেই সে আমাকে আর চিনতে পারছিলোনা। চারদিন সিএমসিএইচ এর আইসিইউতে রাখার পর চিকিৎসার কোনদিকেই উন্নতি না হওয়ায় তার বায়োএফসি টেস্ট করতে দিয়ে রোকেয়াকে সাধারণ ফিমেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হলো। রোকেয়াকে নিয়ে সিএমসিএইচ এর ই-ওয়ার্ডে চলে আসলাম। যথারিতি চিকিৎসা চলতে থাকলো। ২০ এপ্রিল, শুক্রবার, সকাল এগারোটায় পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের ডাক্তার টিম ই-ওয়ার্ডে রোকেয়াকে দেখতে গেলেন। ভালো করে দেখলেন, আমার সাথেও কথা বললেন। ডাক্তার টিম যাবার সময় বাংলা ভাষা বলতে পারে এমন একজন ডাক্তারকে ডক্টরস্ রুমে নিয়ে আমার সাথে রোকেয়া শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলতে বললেন। ডক্টরস্ রুম থেকে সব জেনে যখন ই-ওয়ার্ডে রোকেয়ার কাছে ফিরলাম তখন রোকেয়া আমাকে বলতে লাগলো সে কখন মারা যাবে? নিজের অজান্তেই আমার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো। সে কিভাবে মারা যাবে তা বুঝিয়ে দিতে বললো। আমি তাকে বৃথা শান্তনা দিতে লাগলাম আর মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে থাকলাম। বিদায় নিয়ে সিএমসিএইচ এর নিয়মানুযায়ী রাত দশটাতে ই-ওয়ার্ড থেকে আমাকে বের হয়ে আসতে হলো। তখনও জানতামনা এটাই ছিলো ওর কাছ থেকে আমার শেষ বিদায় কিনা! ২১ এপ্রিল ভোর ছয়টা দশ মিনিটে যখন ই-ওয়ার্ডে ওর কাছে গেলাম ততক্ষণে তার শ্বাস নালীতে শুধু শেষ নিশ্বাসটুকুই পেলাম আর কিছুই পেলামনা। ও বিদায় নিলো, চির বিদায়! চিরদিনের জন্য এই পৃথিবী ছেড়ে। একজন বিদেশী হিসেবে সকল আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিন দিন পর ফিরে এলাম মেয়ে, ছেলে ও সবার কাছে ওদের মায়ের নিথর দেহটুকু শুধু নিয়ে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট