1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
যৌথ বাহিনীর অভিযানে সোনাতলার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু আটক আজ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী এক্সপ্রেস বাস চালু হওয়ায় যাত্রীরা খুশিঃ স্থায়ী টার্মিনাল নির্মানের দাবি নাগরিক কমিটির চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি পেছাল এক মাস বিমানে শিডিউল বিপর্যয় আবারও যেন ‘নিয়মে’ পরিণত হয়েছে জলমহাল নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাঁওড় ইজারা বাতিলে সোচ্চার বলুহরসহ ভুক্তভোগী বাঁওড় জেলেরা বোয়ালখালীতে সানশাইন একাডেমীর পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বগুড়ায় শীত থেকে বাচতে হাটের পোশাকে ঝুকছে নিন্ম আয়ের মানুষ সোনাতলা সদরে দিনের বেলা মোটরসাইকেল চুরি অরাজকতা প্রতিরোধে কাজ করছে সেনাবাহিনী : প্রেস ব্রিফিং

আসকার ইকবাল এর জেল জীবনের গল্প “অবরুদ্ধ কারাগার” ১০

আসকার ইকবাল
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩
পর্ব – ১০
যমুনা ভবনের যে ওয়ার্ডে (যমুনা ৬/১)আমি থাকতাম সে ওয়ার্ডের অধিকাংশই ছিল মাদক মামলার আসামী।
জলসিড়ি ওয়ার্ড থেকে যমুনা ওয়ার্ডে আবার ট্রান্সফার হবার পর গিয়ে দেখলাম ওয়ার্ডের ইনচার্জ পরিবর্তন হয়েছে। এবার ইনচার্জের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে হাজতি জামাল ভুঁইয়াকে আর সিইও ম্যাট হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজন বিডিআর কয়েদী বন্দীকে। পিলখানা হত্যা মামলার আসামী হিসেবে অনেক বিডিআর সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।এই সমস্ত আসামীরা জেলখানায় বিডিআর বন্দী হিসেবে পরিচিত। জেলখানার অধিকাংশ কার্যক্রম বিডিআর বন্দীদের হাতে নিয়ন্ত্রিত এবং তারা জেলখানায় সামরিক আইন অনুযায়ী দীর্ঘদিন বসবাস ও চলাফেরা করে আসছে। যাই হোক আমার ওয়ার্ডের ব্যাপারে বলা যাক। এই ওয়ার্ডে যেহেতু বেশিরভাগ মাদক মামলার আসামী সেহেতু এদের মাঝে শিক্ষার হারও কম।অধিকাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণীর উর্ধ্বে নয়।আবার কেউ কেউ একদম নিরক্ষর।ফলে এই সমস্ত আসামীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।তবুও আমি নিরুপায়।তার কারণ এখানে একটু ভালোভাবে চলতে গেলে চাই অর্থ।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় একজন কারারক্ষী বলছিলেন,”জেলখানায় থাইকা মজা আছে মামা যদি ট্যাকা থাকে”। আর যদি টাকা না থাকে তবে জেলটা হবে আপনার জন্য জাহান্নাম।যেহেতু আমার পরিবারের কেউ আমাকে ঠিকমতো দেখতে আসতো না এবং কোন খরচ দিয়ে যেতো না তাই আমার জন্যেও প্রায় জেলখানা জাহান্নাম সমতুল্য হয়ে পড়ে।আমি ওয়ার্ডে কোন রকম খরচ দিতাম না।তাই ইনচার্জ দুই একটা কথা বললেও সেটা মুখ বুজে চুপচাপ শুনে যেতে হতো।কিন্তু তারপরও তো একটা পথ বের করা লাগে। ইনচার্জ জামাল ভূঁইয়ার কারণে আমি আবার ওয়ার্ডের ইমামতির দায়িত্ব পেয়েছিলাম।ওয়ার্ড ইমামদের একটা সুবিধা হলো তাদের কোন ওয়ার্ড খরচ দিতে হয় না।আমিও এই সুবিধাটা পেলাম। কিন্তু জেলে সব চেয়ে বড় সমস্যা হলো এখানকার সময়গুলো কিভাবে ব্যয় করা যায় সে চিন্তা নিয়ে।আমিও খুঁজতে লাগলাম কিভাবে জেলের সময়গুলোকে কাজে লাগানো যায়।জেলখানায় বেশ কিছু সামাজিক কার্যক্রম চালু আছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো, ১/কারা শিক্ষা কার্যক্রম ২/কেন্দ্রীয় মক্তব ৩/মননচর্চা কেন্দ্র ও ৪/গ্রীন প্রজেক্ট।
এছাড়াও কারাগারে বই পড়ার জন্যেও আছে কারা লাইব্রেরী।আমি সময় কাটানোর জন্য কারা শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়ে গেলাম।এই কার্যক্রমের মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে যে সমস্ত কারাবন্দী একদম নিরক্ষর তাদেরকে শিক্ষাদান করা। আমি আমার ভবন যমুনার ৬ তলায় প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ক্লাস নিতাম।এছাড়া বাকি সময় লাইব্রেরীতে বই পড়ে কাটাতাম। কারা লাইব্রেরী ছাড়াও মননচর্চা ও কারা শিক্ষা কার্যক্রমেরও ছিল ছোট দুটি লাইব্রেরী। এই সমস্ত লাইব্রেরীতে বই পড়েও অনেক দিন সময় কাটিয়েছি। (চলবে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews