‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে পেরেছি। ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি মানুষের ঘরকে আলোকিত করবো, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে, এর মাধ্যমে আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরুর সফলতম দিন। ’ আজ সোমবার পটুয়াখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এ দেশ এগিয়ে যাক। আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি, যাতে কর্মসংস্থান তৈরি হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণ করেছি।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ অঞ্চল সব সময় অবহেলিত। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ ব্যাপকভাবে করে দিয়েছি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, বাসস্থান; সবদিক দিয়ে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, যা জাতির পিতা করতে চেয়েছিলেন। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) গুচ্ছগ্রাম করে প্রতিটি ভূমিহীন মানুষ যাতে ঘর পায় সে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর পথ অনুসরণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন মানুষকে আমরা ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। ’ তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। ঠিকানাবিহীন থাকবে না। একটি মানুষও আর কষ্ট পাবে না। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। আমরা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছি। পাশাপাশি নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। পায়রায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এ সময় তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট