1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বান্ধবীর বাজিমাত

অদেখা ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথমবার অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একই বর্ষের তিন ছাত্রী। মেধা তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন তারা।

অনার্স শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে পড়ছেন তারা। প্রথমবার অংশ নিয়েই এমন ফলে উচ্ছ্বসিত এই মেধাবীরা। পড়ালেখা শেষ করার আগেই তাদের ঈর্ষণীয় সাফল্যে খুশি পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকরাও।

বৃহস্পতিবার এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রথম হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সুমাইয়া নাসরিন শামা। মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন তারই সহপাঠী জান্নাতুন নাঈম মিতু এবং চতুর্থ হয়েছেন তাদের আরেক সহপাঠী ইশরাত জাহান আশা। এ ছাড়া আতিয়ারা খাতুন নামে রাবির আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আরেক ছাত্রী এবারের জুডিশিয়ারিতে পঞ্চম হয়েছেন।

প্রথম স্থান অর্জনকারী শামা নাটোরের বড়াইগ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও নাজনীন খাতুনের মেয়ে। তার বাবা প্রকৌশলী ও মা স্কুলশিক্ষক। তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় শামা। তিনি ২০১৩ সালে বড়াইগ্রাম পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে বিজ্ঞানে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনার্সের ফলাফলে বিভাগে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

পরীক্ষার দ্বিতীয় হওয়া মিতু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়নশুকা এলাকার নাইমুল ইসলাম ও নাহিদা খাতুনের মেয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে এসএসসি এবং রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। চতুর্থ হওয়া ইশরাত জাহান আশার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার খঞ্জনপুরে। বাবা আতোয়ার রহমান ভূমি অফিসের পেশকার আর মা রুনা লায়লা গৃহিণী। তিনি জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে বিজ্ঞানে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেন। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়।

প্রথমবার অংশ নিয়েই এমন অর্জনে উচ্ছ্বসিত তারা। শামা বলেন, ‘আমার এই ফলের জন্য পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। সত্যি বললে প্রথম হব এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। টার্গেট ছিল মেধা তালিকায় নাম এলেই হবে।’ তিনি আরও বলেন, মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চান্স হয়নি। এরপর আইন বিভাগে ভর্তি হন। আল্লাহ হয়তো এখানে ভাগ্য ও রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন। তাই এত ভালো ফল করেছেন। তিনি বলেন, নারীরা সমাজের বোঝা নয়। সুযোগ পেলে তারা যে কোনো জায়গায় অবদান রাখতে পারেন।

মিতু বলেন, ‘আমি প্রথম বর্ষ থেকে একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলাম। বিভাগের ফলও ভালো ছিল। সবাই উৎসাহ দিত জুডিশিয়ারিতে ভালো করার জন্য। চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় হতে পেরে আমি অনেক খুশি। আমার পরিবারও আমার ফলে গর্বিত হয়েছে। পেশাগত জীবনে সাফল্যের জন্য সবার দোয়া চাই।’

অন্যদিকে চতুর্থ হওয়া আশার প্রথম থেকেই স্বপ্ন ছিল বিচারক হওয়ার। তিনি চান আইনের শাসন ও সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে। তিনি বলেন, ‘আমার বিচার বিভাগে আসার একটা লক্ষ্য হলো দুর্নীতিমুক্ত বিচার ব্যবস্থা ও সমাজের অসহায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা অব্যাহত রাখা। আমার আদালতের পরিবেশ হবে নিরপেক্ষ, ন্যায় ও সত্যের মূর্তিমান প্রতীক। আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সব সময় অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’ কাঙ্ক্ষিত ফলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল প্রথমবারই টিকব। পরীক্ষা, ভাইভা সব ভালো দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করতে পেরেছি।’ তাদের অর্জনে বিভাগের শিক্ষকরাও আনন্দিত।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews