হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত রুলের শুনানি করতে উদ্যোগী রাষ্ট্রপক্ষ। দেড় বছর আগে জারি করা রুলটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারাধীন।
আজ সোমবার (১৬ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পিকের গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে সেই রুলটির শুনানির আরজি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এসময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানও ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আরজির পর আদালত জানান, মঙ্গলবারের (১৭ মে) কার্যতালিকায় রুলটি শুনানির জন্য তোলা হবে।
পরে ডিএজি মানিক বলেন, ‘পি কে হালদারের গ্রেপ্তার ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্টের স্বপ্রণোদিত রুল অছে। গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি পি কে হালদার ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেটি আদালতের নজরে এনে রুল শুনানির আরজি জানিয়েছিলাম। তখন আদালত বলেছেন, আমাদের বার্তা পরিষ্কার। দুর্নীতি, অর্থ পাচার নিয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যেই হোক। আমরা এ ব্যাপারে সিরিয়াস। ’
এ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘রুলটি শুনানির জন্য মঙ্গলবারের (১৭ মে) কার্যাতালিকায় রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। হয়ত শুনানির তারিখ ঠিক করে দিবেন। ”
‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে এ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পরদিন স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআিইনি হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে পিকে হালদারের গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।
গত শনিবার (১৩ মে) ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে পলাতক পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে। ইডির বরাত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, পি কে হালদার রেশন কার্ড, ভারতের জাতীয় পরিচয় পত্র, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পি এ এন (প্যান) ও আধার কার্ডের মতো ভারতীয় বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি শিব শংকর হালদার নাম নিয়েছিলেন। যদিও সরকার জানিয়েছে, পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট