আজ বেলা ২ টায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে চাষযোগ্য জমি দখলকে কেন্দ্র করে আদিবাসী পল্লীতে আদিবাসীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ঐ এলাকার কিছু উগ্রপন্থি, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারী। হামলায় সুশীল সিং, রিপন কুমার, সুজন সিং, মিনা রাণী সিং, সুখী রানী, টিকলা সিং সহ মোট ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেখানে তার উপর পুণরায় হামলা চালানো হয়েছে এবং তার সাথে থাকা জমির দলিল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র বগুড়ার সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, কৃষক সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী শেখ, ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি সাহা সন্তোষ, বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায়, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা, উদীচী বগুড়ার সভাপতি মাহমুদুস সোবহান মিন্নু, সাধারণ সম্পাদক শাহীদুর রহমান বিপ্লব, যুব ইউনিয়ন বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি ফারহানা আক্তার শাপলা, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান পারভেজ, ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলা সংসদের সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজ, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাস থেকে শেরপুর ইউনিয়নের আম্বইল, গোঁড়তা, কেশবপুর, মরাদীঘি ও জয়নগর গ্রামে ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনাগুলোর প্রতিবাদে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৫ গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের বসতভিটা ও কৃষি জমি রক্ষার দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করে।