1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ :আহত শতাধিক

রাজশাহী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিনোদপুর ফটক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে গতকাল শনিবার দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনার জেরে আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খবর অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলাসংলগ্ন রেলপথে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যেতে পারেনি। বিনোদপুর এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে প্রথমে বিতণ্ডা হয় বাসের চালক ও সহকারীর। বাসটি বিনোদপুরে এসে পৌঁছলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাসের চালক ও সহকারীর পক্ষ নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ শুরু হয় গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে। মোটামুটিভাবে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে বিনোদপুর গেটের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হন শিক্ষার্থীরা। তবে শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল না পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্পর্শকাতর বিষয়। সে কারণে পুলিশের পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়েছে।

রাত সাড়ে ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে আসেন উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম এবং অধ্যাপক হুমায়ূন কবির। এ সময় সুলতান-উল- ইসলাম দাবি করেন, আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। অনেক বেশি শিক্ষার্থী আহত হওয়ায় তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে মেডিক্যালে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে তাঁদের মেডিক্যালে নেওয়া হচ্ছে। আহতদের জন্য অনেক রক্তের প্রয়োজন। তবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের রেজিস্টার বইয়ে দেখা গেছে, আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৪ জনের মতো। হাসপাতালের ২, ৮, ১০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের হামলায় তাঁরা আহত হয়েছেন। এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কতজন আহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম আহমেদ বলেন, কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে কেউই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই।

সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে র‌্যাবের সিইও কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ পরিবহনের’ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল এবং সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। বিনোদপুর গেটে এসে আবারও ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে উভয়র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারের ওপর চড়াও হন।

এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টাধাওয়া করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় লোকজন।

সংঘর্ষের পর প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে। র‌্যাব এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews