রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খবর অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলাসংলগ্ন রেলপথে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যেতে পারেনি। বিনোদপুর এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে।
পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হন শিক্ষার্থীরা। তবে শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল না পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্পর্শকাতর বিষয়। সে কারণে পুলিশের পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম আহমেদ বলেন, কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে কেউই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই।
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে র্যাবের সিইও কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ পরিবহনের’ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল এবং সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। বিনোদপুর গেটে এসে আবারও ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে উভয়র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারের ওপর চড়াও হন।
এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টাধাওয়া করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় লোকজন।