আট বছর আগে শ্বশুর সেকান্দার আলীকে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরাভ। এ ঘটনায় রমনা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন উপপরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দেশের বেশ কয়েকজন তরুণী আরাভ খানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। মডেলিংয়ের পাশাপাশি স্বর্ণ পাচারে আরাভকে সহযোগিতা করে থাকেন তাঁরা। মূলত রাজধানীর গুলশান এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে তাঁদের যাতায়াত। দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণ পাচারকারীদের সঙ্গেও তাঁদের সখ্য রয়েছে। মূলত স্বর্ণ পাচার করেই বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন আরাভ। তাঁর ঘনিষ্ঠদের তালিকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যানশিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কণ্ঠকে জানান, আরাভের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। কিছু তথ্য-প্রমাণ মেলার পর শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থপাচার নিয়ে কাজ করা হবে। তিনি অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন কি না, তা তদন্ত করা হবে।
সিআইডি সূত্র বলেছে, আরাভ স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য হতে পারেন। আর এই অবৈধ কারবারের মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে থাকতে পারেন। বিশেষ করে দুবাইয়ে আরাভের জুয়েলারি ব্যবসার শত শত কোটি টাকার উৎস নিয়ে অনেক সন্দেহ রয়েছে। পাশাপাশি আরাভের মাধ্যমে কত টাকা পাচার হয়েছে, সে বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।