আফরিন আক্তার বলেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে কি হচ্ছে না, সে বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করছি না। আমরা নির্বাচনী পরিবেশে বেশি দৃষ্টি দিচ্ছি।’
মার্কিন ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ দেশের কোনো বিশেষ দল বা প্রার্থীর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না বা কারো সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে নির্বাচনী পরিবেশকে সহযোগিতা করতে কাজ করছি।’
আফরিন আক্তার বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নাগরিক সমাজের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ আছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ আছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ দেয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র আগামী মাসগুলোতে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাতে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গত মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করে। ওই বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করছে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যদেরও সাহায্য করতে হবে।
মোমেন বলেন, পর্যবেক্ষক যত খুশি আসুক। তবে তারা কোনোভাবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ও পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারবে না।
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার ঢাকা সফরকালে ভারত মহাসাগর সম্মেলনে অংশ নেওয়া ছাড়াও একাধিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গত শুক্রবার এক টুইট বার্তায় জানায়, আফরিন আক্তার শুক্রবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলমের সঙ্গে বৈঠকে সহযোগিতা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। এর বাইরে তিনি আলাদা বৈঠকে রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার সুযোগ পেয়েছেন।